ক্রাইমবার্তা রিপোট: মোস্তফা কামাল শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)ব্যুরোঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আবু জার কৃষি কাজে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ৮ বিঘা জমিতে সবজি চাষ ও পুকুরে সমন্বিত মৎস্য চাষ করে ৬ মাসের ব্যবধানে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আয় করে সফলতা লাভ করেছে এই কৃষক। আবু জার শংকরকাটি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর পুত্র। গোবিন্দপুর ব্লকের শংকরকাটি গ্রামে ৮ বিঘা জমির মধ্যে ১ বিঘা পরিমান একটি পুকুর খনন করে রুই ,কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য চাষ করে সফলতা পেয়েছে। পুকুরের পানি দ্বারা অবশিষ্ট ৭ বিঘা জমিতে ফুল কপি ,বিট কপি, বাঁধা কপি, পালং শাক, শিম, সরিষা ,বেগুন,কাঁচাঝাল,লাউ,পুইশাক, ঢেঁড়শ, টমেটো লাগিয়ে বাম্পার ফসল পেয়েছে। ক্ষেতের চারিপাশে পেঁপেঁ, নারিকেল গাছ, মেহগনি, কুলগাছ,কদবেল সহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হয়েছে। এ মৌসুমের প্রথম দিকে সবজীর দাম বেশি হওয়ায় প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে। সম্পুন্ন রাসয়নিক সার ছাড়াই জৈব দিয়ে অভূতপূর্ব ফলন হওয়ায় দাম পেয়েছে বেশ চড়া। কৃষিউপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শামসুর রহমানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ৪ জন কৃষক নিয়ে সার্বক্ষনিক ক্ষেতে কাজ করায় ফসল বাম্পার হয়। বিল জমিকে উঁচু ভিটায় রুপান্তরিত করতে এবং প্রথম পর্যায়ে বড় ধরনের পরিকল্পনায় কৃষি ক্ষেতে কাজ করতে কয়েক লক্ষ্য টাকা খরচ হয়। আবু জার বিভিন্ন সমিতি ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার এ কাজ করতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বৈজ্ঞানিক বা আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করা ছাড়াও ঐ জমিতে গরুর ফার্ম করতে কার্যক্রম শুরু করেছে। পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা পেলে তার ফার্ম কাজটি শেষ হবে। আবু জারের এ ধরনের কার্যক্রম বিভিন্ন সরকারী ও বে-সরকারী কর্মকর্তারা ছাড়াও শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তার কৃষি ক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে চোখ ধাঁধানো ফসল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রত্যহ কয়েক ডজন চাষীরা তার কর্মকান্ড দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন জানান, আবু জারের কর্মকান্ড এলাকার একটা মডেল, কৃষিখাতে তার দক্ষতা সত্যিই প্রশংসনীয়। কৃষক আবু জার বলেন, আমি এ ধরনের কার্যক্রম অব্যহত রাখবো,তবে সরকারী বে-সরকারী সুযোগ সুবিধা পেলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
শিক্ষা অফিসার কর্তৃক কারন দর্শানোর নোটিশ
শ্যামনগরে সোরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
শ্যামনগর ব্যুরোঃ শ্যামনগর উপজেলার ১১০ নং সোরা লক্ষèীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকার প্রদত্ত বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে শিক্ষার্থী/অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে এ অভিযোগটি দায়ের করেন সোরা গ্রামের মোহর আলীর পুত্র রুহুল আমিন। অভিযোগপত্র ও এলাকা সূত্রে প্রকাশ,গত ১ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে সরকার ঘোষিত বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরনে এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিকট থেকে ১০/২০ টাকা নিয়েছেন। সরকার প্রদত্ত বিনামূল্য বই বিতরণ বাবদ টাকা নেওয়া অপরাধ হওয়ায় স্থানীয় বাবলু গাজী বিষয়টি জানতে উদ্যোগী হন। এ সময় গাবুরা দারু: সুন্নাত দা: মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি উপহাসের ছলে বলেন ১০,২০ টাকায় কি হবে? প্রধান শিক্ষকের কী ফাঁসি হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ছাত্র-ছাত্রীদের কে ভীতি প্রদর্শন করে বলেন, টাকার বিষয় কাউকে বলা হলে তাদেরকে লেখাপড়া করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়টি স্থানীয় অভিভাবক ও জন প্রতিনিধিদের ফোন বার্তার সূত্র ধরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কৈফিয়ত তলব করে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম, সুফিয়া খাতুন, ওবায়দুল্লাহ ও ইয়াকুব আলী কে ৭০৯/৪ নং স্মারকে সন্তোষ জনক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন জানান, টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানতে পেরে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, টাকা নেওয়া হয়েছে সত্য, তবে এ ধরণের সমস্যা হবে জানতাম না।