৪ দিনেও কোন ক্লু পাওয়া যায়নি॥ অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে চাপে পড়া প্রশাসন

৪ দিনেও কোন ক্লু পাওয়া যায়নি॥ অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে চাপে পড়া প্রশাসন॥ আটক হচ্ছে নিরপরাধ মানুষ

তোফাজ্জল হোসেন কামাল : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মো. মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের চারদিনেও কোনো ক্লু খুঁজে পায়নি পুলিশ। অথচ সরকার ও তার নীতিনির্ধারণী মহলের পক্ষ থেকে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ওপর দোষ চাপানোর ষোলকলা চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই দোষ চাপানোর সংস্কৃতির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় নিরপরাধ জনগণ। শনিবার সন্ধ্যায় ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩২ জনকে আটক করে। তাদেরকে সুন্দরগঞ্জ থানা হাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত থানা পুলিশই করছে। গুরুত্বপূর্ণ এ মামলাটি থানা পুলিশের বাইরে অন্য কোন সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

এদিকে, এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নানাবিধ চাপে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। চাপের কারণে তারা ওই হত্যাককাণ্ডটি নিয়ে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছেন। চাপে পড়ার কথা স্বীকারও করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা। তাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি জানতে চাইলে বলা হয়, মামলাটি তদন্তে পুলিশের সকল ইউনিটই কাজ করছে। তাদের দাবি, তদন্ত সঠিক পথে সঠিক গতিতে চলছে।

অপরদিকে গত চারদিনেও হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া পাঁচ যুবককে শনাক্ত ও তাদের গ্রেফতারসহ কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে কি ধরনের অস্ত্র (পিস্তল) ও গুলী ব্যবহার করা হয়েছে তাও এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এমনকি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা দুটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুন্দরগঞ্জ। হত্যার পর সোমবার দুপুর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

লিটন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনদিনের শোক কর্মসূচি পালন করছে।গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও লিটনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাত ৪/৫ যুবক লিটনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ (মাস্টারপাড়া) বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় লিটন তার বৈঠকখানায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এর মধ্যে দুজন বাড়ির বাইরে মোটরসাইকেলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনজন লিটনের বৈঠকখানায় প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলী ছুঁড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ১০-১৫ বছরের স্থানীয় কয়েক শিশু-কিশোর জানায়, ঘটনার আগে তারা লিটনের বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলছিল। এসময় দুটি মোটরসাইকেলে আসা যুবকরা তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু বাড়িতে ফিরে না গিয়ে শিশুরা ক্রিকেট খেলতে থাকলে তারা তাদের আবারো বাড়ি যেতে তাড়া দেন। এরপর শিশুরা বাড়ি ফেরার পরপরই গুলীর ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে জুয়েল রানা নামে এক কিশোর (পিবিআই) কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দী দিয়েছে।

এমপি লিটনের বাড়িতে থাকা কর্মচারী জুয়েল মিয়া বলনে, ঠিক সন্ধ্যার আগে দুটি মোটরসাইকেলে পাঁচ যুবক লিটন স্যারের বাড়িতে আসে। তাদের দুজন বাড়ির উঠানে মোটরসাইকেলের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। আর তিনজন বৈঠকখানায় ঢুকেই গুলী চালায়। এরপর তারা দৌড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি তাদের পিছনে ছুটলেও একটু সামনে যাওয়ার পর আর তাদের দেখতে পাননি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা বলেন, লিটন হত্যার চারদিনেও হত্যার ক্লু ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেননি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও তাদের ফাঁসির দাবি জানান তিনি। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

গতকাল সন্ধ্যা ৭ টা ৩৯ মিনিটে ঢাকা থেকে মুঠোফোনে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর বেকায়দা পরিস্থিতির কথা অকপটে স্বীকার বলে বলেন, তদন্ত চলছে। আমরা জড়িতদের গ্রেফতারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হত্যার পর থেকে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম হত্যাকারীদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যায় অংশ নেয়া পাঁজজনকে শনাক্ত ও মোটরসাইকেল দুটি উদ্ধারেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, হত্যার সময় যে অস্ত্র ও গুলী ব্যবহার করা হয়েছে তার আলামত হিসেবে গুলীর খোসা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে হত্যাকারীরা। হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটনে বেশ কয়েকভাবে তদন্ত চালানো হচ্ছে। তবে আশা করি, শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও সঠিত রহস্য উন্মোচন হবে।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুজ্জামান। তদন্তের স্বার্থে তিনি এ পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে পাঠিয়েছেন।

তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত ৩৫ জন নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালও ৩ জন স্থানীয় বিএনপি জামায়াত সমর্থককে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক করা হয়েছে।

এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হওয়া এবং তদন্ত শুরুর আগেই সরকার ও সরকারিদলের নেতাকর্মীসহ নীতিনির্ধারণী ফোরামের পক্ষ থেকে জামায়াতকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য বিবৃতি চলছেই। এই দোষ চাপানোর সংস্কৃতির সুযোগে চাপে পড়া স্থানীয় প্রশাসন দায়দায়িত্ব দেখাতে জেলাজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আটক শুরু করেছে। ওই হত্যাককাণ্ড নিয়ে একাধিক মহল থেকে নানা তথ্য উপাত্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত-প্রচারিত হয়ে আসলেও মামলাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার যে পাঁয়তারা চলছে তাতে করে লিটন হত্যাকাণ্ডের গতিকে প্রভাবিত করবে বলে অভিজ্ঞমহলের অভিমত।

এমপি যদি গুলীতে মরে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘একজন সংসদ সদস্য (এমপি) যদি তার নিজ ঘরে গুলীতে মারা যায়, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এমন হত্যার ঘটনা অত্যন্ত খারাপ ও ভয়াবহ’। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিহত এমপি লিটনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তিনি গতকাল বিকেলে এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘সভা বা মিটিং মিছিলে গুলীতে মরলেও একটা কথা ছিল। কিন্তু তা না হয়ে নিজ ঘরে গুলীবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন এমপি। এটা ভয়াবহ। সরকার বলছে রাষ্ট্র ভালভাবেই চলছে। কিন্তু এ কি দেখতে হচ্ছে।’

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা দেশকে স্বাধীন করতে ভূমিকা রেখেছিলাম। আবার কেউ কেউ বলেন আমরা বঙ্গবন্ধুর সন্তান। তাই আমি বলছি, আজ বঙ্গবন্ধু নেই, আমরা বাবা হারা এতিম সন্তান হয়ে পড়েছি।

এর আগে, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিহত এমপি লিটনের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের শোক জ্ঞাপন করেন।

বিচার দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

লিটনের হত্যায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতকাল সকালে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে যোগ দিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, “এমপি লিটন ছিলেন জামায়াত-শিবিরের জন্য আতঙ্ক। “জামায়াত অধ্যুষিত সুন্দরগঞ্জ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে যেভাবে কাজ করে গেছেন, তা কোনোদিন ভোলার মতো না।”

খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে জাকির বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সংসদ সদস্য লিটনের হত্যার পেছনে দায়ী। তাদের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নিলেই এই হত্যার আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।”এমপি লিটনের হত্যাকাণ্ড স্বাধীনতা বিরোধীদের তৎপরতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, কামাল মোহাম্মদ নাসের, আদিত্য নন্দী, সহ-সম্পাদক রেজা আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান হাসুও অংশ নেন।

দোয়া মাহফিল

এমপি লিটনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন তেলওয়াত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। সকাল থেকে তার নিজ বাড়িতে কোরআন তেলওয়াত করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি মাদরাসার প্রায় দুই শতাধিক এতিম শিশু। পরে দুপুরে লিটনের কবরের পাশে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিলে লিটনের অত্মীয়-স্বজন, শুভকাক্সক্ষী, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-মুয়জ্জিনসহ সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেয়।

তিন দিনের শোক চলছে

লিটন হত্যা ঘটনার প্রতিবাদে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিন দিনের শোক কর্মসূচির ঘোষণা করেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের শোক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- দলীয় পতাকা অর্ধনির্মিত, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও দোয়া-মাহফিল। এছাড়া গতকাল বিক্ষোভ শেষে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিন দিনের শোক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাহাবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে এমপি লিটনকে বাড়িতে ঢুকে গুলী করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামী করে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এরপর সোমবার বাদ আসর নিজ বাড়ির চত্বরে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।