ক্রাইমবার্তা রিপোট: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামীকাল ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস। এদিনে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে করা হয়েছে পরাধীন।
আগামীকাল সরকারি দলের সকল হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে সারা বাংলাদেশের জেলা ও মহানগরগুলোতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচী সফল হবে।
আজ বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মজিবর রহমান সারোয়ার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আমরা ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আগেই কর্মসূচী ঘোষণা করেছি। এ ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু ৭ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ব্যাপারে গণপূর্ত অধিদফতর অনুমতি দিলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। আশা করি পুলিশ প্রশাসন আমাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেবেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপ অব্যাহত আছে। বিএনপিও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছে। রাষ্ট্রপতিও সব দলের মতামতের ভিত্তিতে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। কেননা রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের একজন অভিভাবক। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির আশাবাদের বাস্তব প্রতিফল ঘটলে দেশের প্রতিটি জনগণ সেটিকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে স্বাগত জানাবে। বিএনপিও সেটিকে স্বাগকত জানাবে।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ঘরেও কোনো নিরাপত্তা নেই। সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। সারাদেশের নিজেদের লোকেরাই খুনোখুনি করছে। আর এ নিয়ে আওয়ামী লীগ দোষারোপের রাজনীতি করছে। কিন্তু এভাবে আওয়ামী লীগ পার পাবেনা। তাই বলি দোষারোপের রাজনীতি ছেড়ে নিজেদের ঘর সামলান। স্বৈরাচারি আচরণ পরিত্যাগ করে সভ্য ও সহনশীল আচরণ প্রদর্শন করুন। কারণ কত স্বৈরাচারের যুগ অস্তাচলে চলে গেছে।