ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ট্রাম্পের ট্রান্সজিশন টিম রাজনৈতিকভাবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বিদেশ থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। উদ্বোধনী দিনের মধ্যেই তাদের বিদেশ থেকে দেশে আনা হবে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবরে শুক্রবার বলা হয়।
সিনেটের নিশ্চিয়তা ছাড়া যারা আমেরিকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে তাদের দেশে ফেরত আনা হবে। এই ধরনের রাষ্ট্রদূতদের রাজনৈতিক নিয়োগ বলে মনে করে ট্রাম্প ট্রানজিশন টিম। বিশেষ করে বড় বড় দেশ গুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় যাদের নিয়োগ দিয়েছে সেই দেশগুলোতে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করা হবে। এই তালিকা রয়েছে জার্মানি ও ব্রিটেন নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়।
এখন থেকে আগের নিয়ম বাতিল করা হবে। আগে রাজনৈতিক বিবেচনায় সিনেটের অনুমোদন ছাড়াই রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হতো। ওবামা প্রশাসনের এই রীতিতে পরিবর্তন আনার কথা জানান ট্রাম্প ট্রান্সজিশন টিমের একজন সিনিয়র সদস্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান।
ওবামা সরকারের সময় যে অসুস্থ সংস্কৃতি শুরু হয়েছে সেই সব ব্যক্তিদের অপসারণ করার হবে বলেও জানান সিনিয়র ওই কর্মকর্তা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, অনেক রাষ্ট্রদূত এখন রেক্স টিলারসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। কারণ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্প টিলারসনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট রাজনৈতিকভাবে নিয়োগকৃত সকল রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা শুরু হবে ২০ জানুয়ারি থেকে বলেও নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়। এর মধ্যে যারা বিভিন্ন দেশে রয়েছে তারাও যুক্তরাষ্ট্রে আসা ও যাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়োগ পাবে তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
ট্রাম্প ইতিমধ্যে দুই দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে একজন হলো ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন অ্যাডভাইজার ডেবিট ফ্রিডম্যান অন্যজন হলো ট্যারি ব্যান্সটেড। ফ্রিডম্যান ইসরায়েলে ও ব্যান্সটেড চীনে ট্রাস্প প্রশাসনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্র: দ্য হিল