ক্রাইমবার্তা রিপোট: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থায় বিদ্যমান নৈরাজ্যের স্থায়ী অবসান করতে হবে।
রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি জাতীয় পরিষদের সভার প্রথম অধিবেশনে তিনি একথা বলেন।
সভার আলোচ্যসূচি ব্যাখ্যা করে বক্তব্য দেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।
আ স ম রব আরো বলেন, রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে অনেকেই শুধুমাত্র এবারের নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এতে সমস্যার সমাধান হবে না। পরবর্তী নির্বাচনের আগে এ সংকট আবারো দেখা দেবে।
এদিকে দলের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয় দেশে আজ হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাট-দখলবাজী ও সাম্প্রদায়িক হামলা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দলবাজির কারণে রাষ্ট্র-প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী এসব ঘটনা কার্যকরভাবে যথাসময়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দেশের রাজনীতিতে উপনিবেশিক ধাঁচের রাজনীতির ধারক-বাহক দলসমূহের শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকা ও আবার ক্ষমতায় যাওয়ার অপরাজনীতির কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীন দেশে অভ্যন্তরীণ উপনিবেশিক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী দলসমূহের পক্ষে দেশে গণতন্ত্র, মৌলিক মানবাধিকার, অবাধ রাজনৈতিক অধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভাব্য উন্নয়ন-অগ্রগতি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এজন্য উপনিবেশিক ধারার দলসমূহের বিপরীতে গড়ে ওঠা রাজনীতির দ্বিতীয় ধারার ভিত্তিতে ‘তৃতীয় রাজনৈতি শক্তি’ গড়ে তুলতে হবে। জেএসডি এ লক্ষ্যে পূর্বের মতোই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এতে নানাবিধ পিছুটানের কারণে অন্যান্য দল এ শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিধান্বিত থেকে গেলে জেএসডিই এককভাবে ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার উদ্যোগ নেবে।
সভায় পার্টির নেতাদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, সিরাজ মিয়া, তানিয়া ফেরদৌসী, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, দবির উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান মাস্টার, আশীষ সরকার, অ্যাডভোকেট কাউছার নিয়াজী, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, মোশাররফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক রাজা, লোকমান হাকিম, সা কা ম আনিসুর রহমান খান, শাহিদ সিরাজী, আবুল কাশেম পাটোয়ারী, নুরুল ইসলাম মাস্টার, নুরুল ইসলাম খোকন, আবদুল লতিফ খান, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।