ক্রাইমবার্তা রিপোট:যশোরের কোতোয়ালি থানায় এক যুবককে দুই টেবিলের মধ্যে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান দুই সদস্যের এ কমিটি গঠন করেন।
কমিটিতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার ও এএসপি ক-সার্কেল নাইমুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কমিটির বিষয়ে এরই মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি। তদন্তে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গত বুধবার পুলিশকে ‘ঘুষ না দেওয়ায়’ আবু সাঈদ (৩০) নামের এক যুবককে থানার ভেতরের টেবিলে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে একাধিক গণমাধ্যমে খবর বের হয়। ওই যুবককে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ও পরে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাদিবুর রহমান নির্যাতন করেন বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।
দুই টেবিলের মাঝে উল্টো করে ঝুলিয়ে যুবককে নির্যাতনের ছবিটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনার পর আজ পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে ওই ছবি তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন আবু সাঈদ।
আজ শুক্রবার দুপুরে আবু সাঈদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি আমার নয়। পুলিশ আমাকে লুঙ্গি পরা অবস্থায় আটক করেছিল। অথচ ছবিতে জিন্স ও টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে। ওই ধরনের পোশাক আমার নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবার সকালে সাঈদের বাড়িতে সাংবাদিকরা যাওয়ার আগে সেখানে যায় পুলিশ। তাই পুলিশের ভয়েই এখন সত্য কথা গোপন করছেন তিনি।
স্থানীয় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসমত আলী চাকলাদার বলেন, ‘বুধবার রাতে পুলিশ সাঈদকে ধরে নিয়ে যায়। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সে ছাড়া পায় বলে শুনেছি।’