ক্রাইমবার্তা রিপোট:মোস্তফা কামাল-শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার ইছাকুড় গ্রামের আরশাদ আলীর পুত্র মুজিবর রহমান ড্রাইভার (৪৫) পায়ে ভুঁয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানায় ডান্ডাবেড়ী নিয়ে ৩৭ দিন কারা ভোগ করে অবশেষে খালাশ পেল। মুজিবুর রহমান জানায়, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় একটি মামলা হয়, যার নং- ১১২৬/১৬ দেখিয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা (চ-১০২৯/১৬) উক্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে ইস্যু করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে মুজিবরকে শ্যামনগর থানার এস আই হাসেম ও এস আই আসমত গত ২/১২/১৬ ইং তারিখে গ্রেপ্তার করে করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তিতে মুজিবরকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিনের জন্য হাজির করা হয়। এসময় বিচারক মামলার কাগজ পত্র পর্যালচনা করে দেখতে পান প্রকৃত পক্ষে মুজিবরের নামে উক্ত ট্রাইব্যুনাল আদলত থেকে কোন প্রকার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়নি বা রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মুজিবরের বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই। এমতবস্থায় মুজিবরকে উক্ত ট্রাইব্যুনাল আদালত থেকে বে-কশুর খালাশ প্রদান করে। শুধু তাই নয় জেলা ও দায়রা জজ এবং বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রাঙামাটি পার্বত্য জেলা স্বাক্ষরিত জেল সুপার, জেলা কারাগার সাতক্ষীরা বরাবর লিখিত ভাবে মুজিবরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। লিখিত নির্দেশে বলা হয়, নারী ও শিশু ১১২৬/১৬ নং কোন মামলা অত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নাই এবং উক্ত নং মামলার কোন গ্রেফতার পরোয়ানা (চ-১০২৯/১৬) অত্র ট্রাইবুনাল হইতে ইস্যু করা হয় নাই। ভুঁয়া এবং জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে কে বা কারা গ্রেফতারী পরোয়ানাটি সৃজন করিয়াছে। বিচারকের লেখায় আরো জানানো হয়, এই গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আমি ইস্যু করি নাই এবং ইহার স্বাক্ষর আমার নহে। ফলশ্র“তিতে প্রতীয়মান হয় যে, নারী ও শিশু মামলা এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানা সম্পূর্ণ ভুঁয়া, গ্রেপ্তার কৃত ব্যক্তি নির্দোষ। বিচারক আরো বলেন, ভুঁয়া গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু কারী চক্রকে খুজিয়া বাহির করতঃ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …