কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:সাতক্ষীরা কলারোয়ার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পাবলিক ইনস্টিটিউট’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সভাপতি ও এড শেখ কামাল রেজা সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার এ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রর্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক প্রভাষক রফিকুল ইসলাম জানান, ২১সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি পদের বিপরীতে এক জন করে প্রার্থী থাকায় সকল প্রার্থীকে বে-সরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। ২১ জানুয়ারি এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট দিন ধার্য করা হয়। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন আগামী ১০ জানুয়ারি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত অন্য নির্বাহীরা হল সহ-সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব, মহিলা সহ-সভাপতি মিসেস রীনা চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব, পাঠাগার সম্পাদক প্রধান শিক্ষক প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবু, ক্রীড়া সম্পাদক মিয়া ফারুক হোসেন স্বপন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিশ্বনাথ দেবনাথ, দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান বাবু, প্রচার সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শ্যামল ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস লিলি কামাল। এছাড়া কার্য নির্বাহী সদস্যরা হল অধ্যাপক আবুল খায়ের, অধ্যাপক রামাকান্ত সরকার, সন্তোষ কুমার পাল, প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আখতার আসাদুজ্জামান চান্দু, ইউনুচ আলি, কামরুল ইসলাম সাজু ও প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার ঘোষ। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অপর সদস্যরা হলেন প্রধান শিক্ষক হরিসাধন ঘোষ, শিক্ষক দীপক শেঠ, মাস্টার আব্দুর রহমান, হুমায়ুন কবির ও আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ।
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি,
সাতক্ষীরা কলারোয়ায় সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত কম্বল যথা-যথভাবে বন্টন না করে বিতরণ শুরু করায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই বিতরণ কার্যক্রম। এতে ইউপি সদস্যদের একাংশ ক্ষুব্ধ ও দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে উপজেলার ৬ নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে এ বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও আনারুল ইসলাম জানান, এ বছর তাদের ইউনিয়নে সরকার কর্তৃক ১২৫ টি কম্বল বরাদ্দ পায়। কম্বলগুলো ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ইউপি সদস্যদের মাঝে সমান বন্টন না দিয়েই মাদরা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে কম্বল বিতরণ শুরু করতে বলেন। এমনকি ১০/১২ টি কম্বল বিতরণও করা হয়ে যায়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ওই ইউনিয়নে কম্বল বিতরণ বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন। ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, ওই দুই ইউপি সদস্যের নিকট কম্বল বিতরণের তালিকা চাওয়ার পরেও তারা তালিকা দেননি। কিন্তু অন্যান্য ইউপি সদস্যরা তালিকা দিয়েছেন বিধায় তাদেরকে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক মাদরা ইউপি সদস্য কম্বল বিতরণ শুরু করলে পরে ওই দুই ইউপি সদস্য বাধা প্রদান করেন। এদিকে চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পরও কেন তিনি ইউনিয়নের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল বলেন শনিবার পর্যন্ত তিনি সাময়িক এ বিষয়ে কোন চিঠি পাননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় ওই অভিযোগ পত্রের প্রাপ্তি স্বীকার, কম্বল বিতরণ বন্ধ এবং ইউপি চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টিও শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।