ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি :ঝালকাঠির রাজাপুরের পূর্ব আঙ্গারিয়া গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গতকাল শনিবার গভীর রাতে কৃষক ইউসুফ আলী খন্দকারের বসতঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক ইউসুফ আলী খন্দকারের গর্ভবতী মেয়ে মাকসুদা বেগম (২৭) সহ ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। অপর আহতরা হল- কৃষক ইউসুফ আলী খন্দকারের ছেলে ফায়জুল হক (২৫), আব্দুর রহমান (৩০), ইয়াসিন (৩৩) ও মেয়ে শারমিন আক্তার (২০)। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফায়জুল, আব্দুর রহমান ও ইয়াসিনকে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি এবং অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত শারমিন ও তার মা রিজিয়া বেগম অভিযোগ করে জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের পশ্চিম পাশ দিয়ে সিঁধ কেটে জমি সংক্রান্ত প্রতিপক্ষরা ঘরে প্রবেশ করে দরজা খুলে দিয়ে ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের সবাইকে জিম্মি করে ফায়জুল, রহমান ও ইয়াসিনকে ঘর থেকে বাড়ির সামনের রাস্তায় তুলে নিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে। এসময় অন্যরা তাদের রক্ষায় এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করে এবং ঘরে থানা ৪০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি সোনার অলঙ্কার লুটে নেয়। ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজাপুরে উন্নয়ন মেলা সফল করতে প্রেস ব্রিফিং
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরে উন্নয়ন মেলা সফল করতে গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রেস ব্রিফিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শরীফ মোহাম্মদ ফয়জুল আলম, কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আল আমিন বাকলাই, সাংবাদিক বারেক ফরাজি, রাজাপুর সাংবাকি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক রহিম রেজা ও আলমগীর শরীফ প্রমুখ। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজাপুর থানা দালাল মুক্ত ও চুরি-ডাকাতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ওসি মনিরের সাফল্য
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুর থানা দালাল মুক্ত রাখা, খুন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক নিয়ন্ত্রন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রসংশনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস। তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রন ও ডাকাতি রোধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ কারনে পূর্বের তুলনায় ক্রমশ এ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি রাজাপুর থানা দালাল মুক্ত করার বিষয়ে তিনি সাহসী কঠোর ভূমিকা পালন করে থানাকে দালাল মুক্ত করেছেন। যদিও তিনি থানা দালাল মুক্ত ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় একটি মহল ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারায় চালাচ্ছে। রাজাপুরের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একান্ত আলাপকালে ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাংবাদিকসহ সকলের আন্তরিক সহযোগীতা পেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তৎপরতার কারনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পূর্বের ন্যায় এখন আর প্রকাশ্যে নারীদের সোনার গহণা ছিনতাই, চালকদের খুন করে মোটর সাইকেল ছিনতাই হচ্ছে না। ঝুকিপূর্ণ এলাকায় রাতে রাত জেগে ওসির নেতৃত্বে পুলিশী টহলের পাশাপাশি পাহারার ব্যবস্থার কারনে পূর্বের ন্যায় গুলিবর্ষণ করে ডাকাতি, মালপত্র লুটপাট ও জখমের ঘটনাও ঘটছে না। তার সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত নির্দেশনা এবং তৎপরতার কারনে রাতে মানুষ নিরাপদে ও শান্তিত ঘুমাতে পারছে বলেও দাবি করেন ওসি মুনীর। তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাতে না ঘুমিয়ে সজাগ থেকে বিভিন্নি এলাকায় টহল দেই এবং মোবাইলের মাধ্যমে খোঁজখবর নেই। এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাহারা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কোথাও চোর বা ডাকাতের উপস্থিতি টের পেলে ওই সব এলাকার লোকজন নিয়ে তা প্রতিহত করি। তবে জনবল সংকট ও কিছ কিছু এলাকায় অনুন্নত যোগাযোগের জন্য কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ কারনে রাতে টেম্পোতে টহল দিতে হচ্ছে পুলিশকে। প্রচন্ড শীতে ও অনিদ্রর কারনে পুলিশের কাজকর্মে কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে। ইভটিজিং বন্ধে গালর্স স্কুল ও কলেজ এলাকায়ও পুলিশি টহল দেয়া হচ্ছে। মাদকের বিষয়ে ওসি বলেন, পূর্বে রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে সদরের বিভিন্ন এলাকায় গাঁজার সেবনের গন্ধে বাতাশ ভারি হয়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে চিহ্নিত মাদক সম্রাটদের আইনের আওতায় আনায় মাদক নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক তদ্বির ও হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং সকলের সহযোগীতা পেলে মাদক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। তাছাড়া মাদকের ভয়াবহ কুফলের বিষয়ে যুব সমাজকে সচেতন হতে হবে। তাই স্কুল, কলেজের শির্থীসহ সকল সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদেরকে নজর দেয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গী, মাদক ও বাল্য বিয়ের কুফলসহ বিভিন্ন বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভাও করছেন ওসি। যেকোন ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি এবং পূর্বের ন্যায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।