ক্রাইমবার্তা রিপোট: আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর পৌর ১৪ নং ওয়ার্ডে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের খোয়াসাগর দিঘির উত্তর পাড় রাস্তাটি খানা-খন্ডে পরিণত হয়েছে। দেখার মত কেউ নেই। বলার মত কোনো সাহসী ব্যাক্তি নেই। এলাকা বাসির জনদূভোগের শেষ নেই ?
পৌর ১৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের রাস্তাটি পৌর সিটি কর্পোরেশন বিভাগের ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দর্শা পরিনত হয়েছে। বেলতলী খোয়াসাগর দিঘির পাড় থেকে পশ্চিম লক্ষ¥ীপুর থেকে পালের হাট বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তাটি হাজারো খানা-খন্ডেকে ভরা।
৫ কিলোমিটার এ রাস্তাটি ৯০ ভাগই বর্তমানে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন এ রাস্তাটি দিয়ে দালার বাজার , লক্ষ্মীপুরের ট্রাক ,সিএনজি ,অটো রিকসা, বাইসইকেল মটর সাইকেলসহ, অভ্যন্তরীণ রুটে শত শত গাড়ি চলাচল করছে। এমনিতে রাস্তাটি অপ্রসস্ত তার উপর খোয়াসাগর দিঘির দুই পাশের পাড় ভেঙ্গে যাওয়া একটি সিএনজি এবং একটি রিক্সা ক্রসিং করে যেতে অনেক কষ্ট হয় । রাস্তা অপ্রসস্ত হওয়ায় ক্রসিংয়ের সময় সিএনজি ,অটোরিকসা খাদে কিংবা রাস্তার বাহিরে খোয়াসাগর দিঘিতে পড়ার মতো ঘটনাও অহরহ ঘটেছে।
প্রায় ১০ বছর আগে যান চলাচলের জন্য রাস্তাটি অনুপযোগী হয়ে পড়লেও সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিস্ট কৃর্তপক্ষের নেই কোনো মাথা ব্যাথা। প্রতিদিনই যানবাহন গর্তের মধ্যে আটকা পড়া সহ ছোট বড় দূঘটনা এ রাস্তাটিতে এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়া এ ৫ কিলোমিটার রাস্তাটি মধ্যে বাক রয়েছে ২১ টি। এর মধ্যে ১০ টিই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ । রাস্তাটির র্দূদশাই গত ৫বছরে অসংখ্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। তীর্ব শীতের মৌসুমে রাস্তাটিতে বিভিন্ন যানবাহন থেকে শুর করে পথচারীদেরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে প্রতিদিন। মোট কথা খোয়াসাগর দিঘির উত্তর পাড়ের এ রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানী সচেতন মহলের বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর আলম জানান , দীর্ঘ দিন ধরে এই রাস্তা সংস্কার করার জন্য অনেক কষ্ট করিছি, রাস্তার এমন অবস্থা নিত্য দিন প্রায় সময় দুই একটা করে ট্রাক, সিএনজি, অটো রিক্সসা বাইসাইকেল, রিকসা প্রতিদিন দুই একটি করে উল্টে খোয়া সাগর দিঘিতে পড়ে , বহু মানুষ আহত হওয়ার নজির রয়েছে। রাস্তার করার জন্য ৩ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাস্তাটি সংস্কার করবে বলে বহু আশ্বাস দিলোও আজ পযন্ত্র রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। আগামীতো হবে কিনা জানি না। এখানেও শেষ নয় ? ইউনিয়ন থেকে এখন বতমানে পৌর সভার আন্ডারে রাস্তারটির চলে আসার ফলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা , কাউন্সিলার , মেয়র বহুবার দেখে যাওয়ার ফলে ও উন্নয়নের কোনো ছোঁড়া পড়েনি। আগামীতোও হবে কিনা জানি না।
পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আমিন উল্যাহ হাবিলদারের পুত্র নুরুল আলম বড় নিশ্বাস ফেলে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, বেলতলীর থেকে খোয়াসাগর দিঘির পাড়ের রাস্তাটি এক মরণ ফাঁদ,ভয়ংকর? কারণ এই সড়টি দিয়ে কোনো রিকসা চলাচল করতে ভয় পায় । ভাড়াও দিগুন গুনতে হয় আমাদের। কারণ যে কোনো সময় উল্টে দিঘিতে পড়ার সম্বাভনা আছে । কিছু দিন আগে অমার স্ত্রী মেয়ে রিক্সসা করে আসতেছে হঠাৎ করে, রিকসা উল্টে খানা-খন্ডে পড়ে আমার স্ত্রী মাসুদা আক্তার ,মেয়ে লিপি আক্তার ও রিক্সার চালক সহ তিন জন গুরতর আহত হয় । এখনোও আমার স্ত্রী মাজার ব্যাথা নিয়ে বিছানা শুয়ে আছে। শুধু এখানেও শেষ নয় ? গর্ব ধারণী এক জন মায়ের প্রসব ব্যাথা উঠলে তাকে , এই ভয়ংকর সড়কটি দিয়ে হাসপাতালে নেওয়া লাগবে না রাস্তাই রোগীর মৃত্যু হইতে পারে । আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্ত্রান হয়ে পৌর মেয়রের কাছে রাস্তাটি অতিদ্রুত সংস্কার করার জন্য অনুরোধ জানায়।
সংস্কারের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মীর শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , প্লাসাইডিং এর নিমার্ম কাজের জন্য ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কাজটি ঠিকাদার মনির হোসেন ১৬ % লেস দিয়ে নিয়ে যায় কবে নাগাদ কাজ টি শুরু হবে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি নয়। ঠিকাদার মনিরে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , কয়েক মাসের মধ্যে প্লাসেডিং এর কাজ শুরু হবে বলে জানান।
উল্লেখিত রাস্তাটির সংস্কারের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ইউজি আইপির পাট -২ প্রকল্পের গত অর্থ বছরের তিনটি রাস্তার জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা টেন্ডার হয়েছে । রাস্তা গুলো হলো আলী মিয়া সড়ক, মোহাম্মদ উল্ল্যাহ এমপি সড়ক,খোড়াসাগর দিঘির সড়ক, আগামী দুই মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।