ক্রাইমবার্তা রিপোট ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম ও লুটপাটের মামলার ‘সাজা থেকে বাঁচাতে ও প্রতিপক্ষ শায়েস্তা করা’ এক ডিলে দুই পাখি মারতে নিজের কলেজ পড়–য়া মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ে করার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত কুপিয়ে জখম ও লুটপাট মামলার প্রধান আসামী নূরআলম হাওলাদার তার স্ত্রী পারভীন বেগম কে বাদী করে দুই স্বাক্ষীর পুত্রদের বিরুদ্ধে নিজ মেয়েকে ধর্ষিনের অভিযোগে ঝালকাঠি আদালতে মামলাটি দায়ের করেছে বলে জানাগেছে। নলছিটির মগর ইউনিয়নের উত্তর মগর গ্রামের মামলাবাজ নূরআলম সম্পত্তি ভোগদখলের জন্য দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে একই এলাকার নজরুল হাংসহ চারটি পরিবারের বিরুদ্ধে সিরিজ মামলা দিয়েও সুবিধা করতে না পেরে এবার নিজ মেয়েকে ধর্ষিনের নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগে দাবী করা হয়েছে। বর্তমানে মিথ্যা ধর্ষন মামলার দুই আসামীর পরিবাররের সদস্যদের ও নুরআলমের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার সাক্ষীদের খুন-জখমের নানারকম হুমকি ধুমকি দেয়ায় নজরুল তাওলাদার নলছিটি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। নজরুল হাওলাদার ও ধর্ষন মামলায় জড়ানো দুযুবকের পিতা দুলাল হাং, ছালাম খাঁ জানায়, প্রতিবাসী নুরআলম, আবুয়াল, শহআলম, ছেবাহানদের সাথে তাদের ১৯৯৮ সাল থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারনে ঝালকাঠি দেওয়ানী আদালতে ১৮ বছর ধরে মামলা চলে আসছে। জমিজমার এসব মামলায় নুরআলম, আবুয়াল, শাহআলম, ছেবাহান গংয়েরা আদালতে রায়ে কয়েক দফা পরাজিত হয়। এ অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ উক্ত নুরআলম ও তার সহযোগীরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে মারত্বক আহত করে তাদের বাড়ী ঘরে লুটপাট চালায়। এঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নলছিটি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এজাহার নামীয় প্রধান দুই আসামী ছাড়া বাকী আসামীরা ২০ সেপ্টেম্বর আদালত থেকে জামিনে লাভ করেই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের চেষ্টা চালায়। একপর্যায় উক্ত মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও বাদীসহ সাক্ষীদের শায়েস্তা করতে নূরআলম হাওলাদার তার নিজের কলেজ পড়–য়া মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে ভিকটিম করে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যূাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে পুনরায় আমাদের হয়রানী করার জন্য নানা ষরযন্ত্র শুরু করিতেছে। গত ০৪ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখ বিকালে বিবাদী নুরআলম, আবুয়াল, শহআলম, ছেবাহান, পারভীন, রাবেয়া, কালাম, নাসির ও নাজমা বেগম আমাদের বাসার সামনে এসে অকথ্য গালাগাল ও হুমকি ধুমকি দিয়ে যায়। এমনকি তাদের ধর্ষন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলে হয়রানী করেছে। তাই নিরুপায় হয়ে এ ব্যাপারে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে তদন্তপুর্বক আইনগত সহয়তার আবেদন জানান।
Check Also
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …