ক্রাইমবার্তা রিপোট:১১.০১.১৭:পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা থানায় ২০১৬ সালে ৪টি হত্যা মামলাসহ ১২১ টির মধ্যে ৯০টি হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মাদকদ্রব্য আইনে মামলা।
থানার বাৎসরিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে জেলার পাইকগাছা থানায় বিভিন্ন অপরাধে নিয়মিত মামলার সংখ্যা ১২১টি। যার মধ্যে হত্যা ৪, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩৯, মাদক দ্রব্য আইনে ৫১, ডাকাতি ১, চুরি ১৫, চাঁদাবাজী ২, দ্রুত বিচার আইনে ১, প্রতারণায় ৩, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২, তথ্য প্রযুক্তি আইনে ১, মানব পাচার ১ এবং দস্যুতা আইনে ১টি নিয়মিত মামলা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত অনেক মামলা রয়েছে। এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতে মাদক দ্রব্য সেবনকারী ও বিক্রেতাদের শাস্তি ও অর্থ দন্ড দেয়ায় অনেকের নাম নিয়মিত মামলায় অন্তর্ভূক্ত হয়নি। গত বছর বিভিন্ন মাসে পৌরসভাস্থ ৫নং ওয়ার্ডের ডাঃ সঞ্জয় কুমার মন্ডল, ৩নং ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, গোপালপুরের অশোক চন্দ্র ঘোষ, লিয়াকত গোলদার ও সুকুমার অধিকারীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়া কাশিমনগরের ইটের ভাটা এলাকা থেকে ডাকাতি প্রস্তুতকালে একজন গ্রেপ্তার হলেও থানায় ডাকাতির মামলা হয়েছে মাত্র ১টি। এ ব্যাপার ওসি (তদন্ত) জাবীদ হাসান জানান, এজাহারে উল্লেখিত বিষয় বস্তু ও বর্ণনার উপর ভিত্তি করে কোনটি চুরি, কোনটি ডাকাতি, কোনটি দস্যুতা মামলা তা নির্ণয় করা হয়।
পাইকগাছায় তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার সমাপ্তি
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা চত্ত্বরে নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক। বিশেষঅ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, ওসি মারুফ আহম্মদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএমএ রাসেল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ। বক্তব্য রাখেন, ভেটোনারী ডাঃ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
পাইকগাছার সোলাদানায় দরজা ভেঙ্গে চুরি সংগঠিত
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছার পল্লীতে একটি বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ লক্ষাধিক টাকা চুরি সংগঠিত হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার সোলাদানা সুব্রত কুমার রায়ের বাড়ীতে। এলাকা ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা গ্রামের মৃত শৈলেন্দ্রনাথের পুত্র সুব্রত কুমার রায় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে পরিবার-পরিজন নিয়ে রান্না ঘরে খাওয়া-দাওয়া করছিল। এ সময় তার জনৈক মৃত ভাইয়ের স্ত্রী পার্শ্ববর্তী মৃত ধীরেন্দ্রনাথ সানার পুত্রের সহযোগিতায় অপরিচিত লোকজন নিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। তারা সুব্রতের গচ্ছিত রাখা প্রায় ২০ হাজার টাকা ও ৩/৪ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে এ ঘটনায় মামলা না করার জন্য সুব্রতকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।