যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার ওপর চড়াও হয়েছেন। তিনি ধারণা দিয়েছেন যে, তাকে কেলেঙ্কারিতে ফেলার মত তথ্য রাশিয়া সংগ্রহ করেছে বলে যে অভিযোগ এসেছে, তা হয়তো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই ফাঁস করে দিয়েছে।
একইসাথে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের ওপরও আরেকদফা রাগ ঝেড়েছেন মি. ট্রাম্প।
মি. ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফাঁস করার জন্য যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আসলেই দায়ী হয়, তাহলে তাদের সুনামের ওপর একটি ‘বড়সড় কালির দাগ’ পরে যাবে।
এর আগে কয়েকটি গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে যে, তার নির্বাচনকালীন দল রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ রেখেছে এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের অশ্লীল কিছু ভিডিও রাশিয়ার সংগ্রহে আছে। যদিও এসব অভিযোগের কোনটিই প্রমাণিত নয়।
তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এসব তথ্যকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই মি. ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা উভয়ের কাছেই উপস্থাপন করেছে। কিন্তু এসব তথ্য গণমাধ্যমে আসার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দিকেই সন্দেহের আঙ্গুল তুলছেন মি. ট্রাম্প।
সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প এসব তথ্যের বিষয়ে সংবাদ প্রচারের কারণে বাজফিড এবং সিএনএনের প্রতি আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলেন। তার ভাষায়, এধরণের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ নাৎসি জার্মানিতেই হত।
“এধরণের কাজ নাৎসি জার্মানিই করত এবং তারা করেছেও। আমি মনে করি এটা একটা অমার্যাদকর বিষয়। ভুল এবং মিথ্যা তথ্য জনগণের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। একগাদা আবর্জনার মত বাজফিড এটা লিখেছে… তাদেরকে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে এবং তারা করছেও”- বলেন মি. ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এসব বক্তব্যের পর বিদায়ী ওবামা প্রশাসনের একজন মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলেছেন, গোয়েন্দা সম্প্রদায় দেশের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করেন। এবং মি. ট্রাম্প খুবই ভুলপথে গিয়ে তাদেরকে আক্রমণ করছেন।
গোয়েন্দা সংস্থা এবং গণমাধ্যমকে একহাত দেখে নেয়া ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর সাথে সীমান্তে দেয়াল তৈরি নিয়েও কথা বলেন মি. ট্রাম্প। তিনি বলেন, দ্রুত তিনি এর নির্মাণকাজ শুরু করতে চান এবং মেক্সিকো পরে এর খরচ যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত দেবে।
মি. ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো এক বক্তব্যে আবারো বলছেন, মেক্সিকো সেই দেয়ালের জন্য কোন টাকাই দেবে না। সূত্র : বিবিসি বাংলা