ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে ক্যাম্পাসে চায়ের কাপে ঝড় তুলেছে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ইবির ‘আইন ও মুসলিম বিধান’ বিভাগের নাম থেকে ‘মুসলিম বিধান’ অংশটুকু বাদ দেওয়া হচ্ছে। এতে পুরাতন নাম বদলে বিভাগের নতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘আইন বিভাগ’। নতুন নাম টি ইতোমধ্যে বিভাগীয় সভায় অনুমদোন পেয়েছে।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার অনুষদীয় সভায় নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়কে আলোচ্য সূচির অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সভায় উপস্থি এক শিক্ষক বলেন, ওই সভায় এক শিক্ষক বিভাগের নামের মধ্যে ‘মুসলিম বিধান’ অংশকে বিষফোঁড়া হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিভাগের নাম বদলে ‘আইন বিভাগ’ করা হবে বলে সভায় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বৃহস্পতিবার অনুষদীয় সভায় এ নাম অনুমোদন হলে নিয়মানুসারে এরপর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে উত্থাপন করা হবে। একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এই বিভাগের নাম ছিল “আল-কানুন আশ শরিয়াহ।” পরবর্তিতে তা পরিবর্তন করে আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগ রাখা হয়। সর্বশেষ মুসলিম বিধান বাদ নামটিও বাদ দিতে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা মুসলিম বিধান নামের কারনে বিভিন্ন চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিভাগের নামের সাথে আলাদা মুসলিম বিধান নাম থাকার কারনে একে বিশেষায়িত আইন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যার কারনে আমরা এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমরা বিভাগের সভায় নতুন নাম পাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রবিণ শিক্ষক বলেন,‘ইসলামী জ্ঞানের সাথে আধুনিক জ্ঞানের সম্বনয় সাধনের এক মহান উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ‘মুসলিম’ শব্দের স্থান নেই। বিষয়টি খুবই বেদনা দায়ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘এই নামের কারনে কোন শিক্ষার্থীকে বিড়ম্বনা পোহাতে হলে তা বাংলাদেশের জন্য দু:খ। এদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। যারা ‘মুসলিম’ শব্দের কারণে চাকরি দিতে চায় না তারা নিজকে অস্বিকার করছে। তাদের নিজের জাতিস্বত্তা সম্পর্কেভেবে দেখা দরকার।