ক্রাইমবার্তা রিপোট:মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডুর আশপাশের রোহিঙ্গা জনবসতিতে গণকবর ও অনেক রোহিঙ্গার কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া গেছে।
গত বুধবার মংডুর ছোট গজিরবিল গ্রামে সেরকম তিনটি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। এদের বর্মী সশস্ত্র বাহিনী হত্যা করে লাশগুলো মাটিতে পুঁতে রাখে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।
সম্প্রতি মংডুর বড়গজিরবিলে একাধিক কঙ্কালের সন্ধান পেয়েছেন তারা।
তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন গ্রামে গণকবর কিংবা কঙ্কালের সন্ধান পাচ্ছেন তারা। তাদের ধারণা, গত বছর ৯ অক্টোবরের পর ‘শুদ্ধি অভিযানের’ নামে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ শত শত রোহিঙ্গাকে আটক করে যাদের কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যাচ্ছে না তাদের কবর এগুলো। নিখোঁজরা জীবিত আছে কিনা সে খবরও নেই স্বজনদের কাছে।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, অসংখ্য রোহিঙ্গাকে নির্যাতন করে হত্যার লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে।
তারা বলছেন, উদ্ধারকৃত কঙ্কালগুলো গুম করা নিরীহ রোহিঙ্গাদের, যাদেরকে বর্মী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার পর গণকবর দিয়েছে।
এছাড়া গত সপ্তাহের শনিবার বুথিদং ও মংডুতে ১০ জন রোহিঙ্গা নারীকে সেনাসদস্যরা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গারা। গত শনিবার বুথিদং এর শাহাব বাজারে দুই নারীকে গণধর্ষণ করে সেনা সদস্যরা। একইদিন মংডুর গুলিরছড়া এলাকায় তিনবার হামলা চালিয়ে ৩০ রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আটককৃতদের মধ্যে আটজনকে ধর্ষনের অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গারা। শত শত রোহিঙ্গা নারী পুরুষ সেনাদের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।