ভারতের হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে হলফনামা আকারে তা আদালতে পেশ করতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার এক মামলার শুনানিতে দেশটির হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের প্রশ্ন, ভুঁড়িধারী পুলিশ কী করে অপরাধীদের ধাওয়া করে ধরবে?
এর আগে এ বিষয়ে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে কমল দে নামের এক ব্যক্তি। তার দাবি, কলকাতা পুলিশের এক শ্রেণির কর্মী ভুঁড়ি থাকার কারণে শারীরিকভাবে সক্ষম নন। তাদের সক্ষম হওয়া দরকার বলে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আদালতে আবেদনকারী কমলবাবুর বক্তব্য— কোথাও দেখা যাচ্ছে মোটাসোটা, ভুঁড়িধারী পুলিশকর্মী থানায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন, কোথাও দেখা যাচ্ছে বসে বসে ঘুমাচ্ছেন।
তার মতে, ভুঁড়ির জেরেই চোরের পেছনে ছুটতে হলে পুলিশের ক্লান্ত দশা। আর চোর পগারপার! প্রমাণস্বরূপ এ দিন শুনানিতে বেশ কয়েকজন ভুঁড়িধারী পুলিশের ছবিও পেশ করেছেন কমল দে। তাদের কেউ অফিসার, কেউ বা কনস্টেবল। কলকাতার একটি থানার ওসির ছবি দেখিয়ে ওই ব্যক্তি উল্লেখ করেন, ভুঁড়ি নিয়েই ওই অফিসার ২০১৫ সালে পুলিশ মেডেল পেয়েছেন।
কোর্টে এই মামলার আবেদনকারীর বক্তব্য, পুলিশের মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা কমে গেলে তাদের পক্ষে অপরাধীদের ধরা বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা অথবা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। সেই কারণে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
এ দিনের শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায় জানান, মোটা হয়ে যাওয়া বা ভুঁড়ি হওয়া শুধু এ রাজ্যের সমস্যা নয়, এটা এখন সারা পৃথিবীর সমস্যা। এটি এক ধরনের অসুস্থতা বলেও তপন মুখোপাধ্যায় কোর্টে জানান। তখনই বিচারপতি মাত্রে প্রশ্ন করেন, ‘‘ভুঁড়িধারী পুলিশ কী করে অপরাধীদের ধাওয়া করে ধরবে?’