ক্রাইমবার্তা রিপোট:রহিম রেজা, রাজাপুর (ঝালকাঠি) থেকে
ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালি নদীর ভাঙন কবলিত পালট গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে র্দীঘ ১ কিলোমিটার বেরিবাঁধ নির্মাণ ও অধিক ভাঙন ঝুকিপূর্ণ দক্ষিণ পালট প্রাথমিক স্কুল এলাকায় স্থায়ী পাইলিং নির্মান করছেন বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক শাহাদাৎ হোসেন কাজল মোল্লা। জানা গেছে, দক্ষিণ পালট প্রাথমিক স্কুল এলাকা থেকে পালট গ্রামের কাটাখালি খালের ব্রীজ হয়ে ওই গ্রামের সফিজ উদ্দিন চাপরাশির বাড়ি হয়ে কুলাইগাছিয়া খাল এলাকা পর্যন্ত র্দীঘ ১ কিলোমিটার বেরিবাধ নির্মান কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এ কাজে ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে। এ টাকা পালট গ্রামের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন কাজল মেম্বর নিজেই ব্যক্তিগতভাবে ব্যয় করবেন। শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ পালট সরকারি প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন বিষখালি নদীর অধিক ঝুকিপূর্ণ এলাকার বেরিবাধ রক্ষার জন্য রড ও সিমেন্টের স্থায়ী পাইলিং নির্মান করা হচ্ছে। ৫ জানুয়ারি থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীর তীরের মাটিখুড়ে পিলার নির্মাণের নিচের অংশের কাজ শেষ করা হয়েছে। ওই এলাকার বিষখালি নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ দক্ষিণ পালট গ্রামের খোকন হোসেন, খলিল হোসেন ও কাঞ্চন হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিষখালি নদীর ভাঙনে ওই এলাকার অনেকেরই ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে চলেও গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই অনেকের কাছেই ভাঙনরোধ বা বেরিবাঁেধর জন্য আকুতি করেছি। কিন্তু কেহই একটু নজর দেয়নি। বর্তমানে স্থানীয় মেম্বর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক শাহাদাৎ হোসেন কাজল মোল্লা নিজ খরচে বিষখালির অধিক ঝুকিপূর্ণ এলাকার বেরিবাধ রক্ষার জন্য রড ও সিমেন্টের স্থায়ী পাইলিং এবং বেরিবাধ নির্মান করছেন। তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি প্রান খুলে। এর আগেও তিনি একবার পাইলিং দিয়েছিল, তা ভাঙনে ভেঙে যাওয়ায় এবার রড-সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ীভাবে পাইলিং করে দিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি এলাকায় বিভিন্ন গরীব দুঃখী মানুষের কল্যানে সহায়তাসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন কাজল মোল্লার ছোট ভাই আবুল বাসার। তিনি জানান, পালট গ্রামের কাটাখালি খালের ব্রীজ হয়ে ওই গ্রামের সফিজ উদ্দিন চাপরাশির বাড়ি পর্যন্ত বেরিবাঁধ নির্মানের জন ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ জন শ্রমিক দিন দিয়ে করাচ্ছেন এবং পাইলিংয়ের কাজও করছেন ১০ শ্রমিক। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে পুরো কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক শাহাদাৎ হোসেন কাজল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পালট গ্রামের বিষখালি নদী ভাঙনে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমিসহ সম্পদ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বেরিবাধ না থাকায় বন্যার সময় নদীর পানি প্রবেশ করে ফসল, ধান ও সম্পদের ক্ষতি হয় এবং নদী তীরের মানুষ পানিবন্দী হয়ে অসহায় হয়ে পড়ে তাই এলাকার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যোগেই বেরিবাধ ও অধিক ঝুকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ী পাইলিং নির্মান করছি।