দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে শুরু করেছিলেন তামিম ইকবালের সঙ্গে, দিনটা বাংলাদেশের হতে পারতো।
কিন্তু রানআউট বাঁচাতে গিয়ে ইমরুল কায়েস লাফ দিয়ে গোটা দলকেই বিপদে ফেলে এসেছেন। বিনা উইকেটের ৪৬ রান চতুর্থ দিন শেষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ৬৬।
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৫৩৯ রানে গুটিয়ে প্রথম ৫৬ রানের লিড নেয়ার পর শেষ বিকালে বাংলাদেশ হঠাৎ হারিয়ে বসেছে প্রথমসারির তিন ব্যাটসম্যানকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস দারুণ শুরু এনে দেন। দলীয় ৪৬ রানের সময় ২৪ করা ইমরুল রানআউট থেকে বাঁচতে গিয়ে লাফ দিলে বাম ঊরুর চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন। সেখান থেকে তাকে সোজা নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। এক্স-রে করানোর পর বোঝা যাবে তার চোটের অবস্থা।
মাঠ থেকে ইমরুলের বিদায়েই পথ হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রানে তামিম ইকবাল বোল্ড হন মিশেল স্যাটনারের বলে। তিনি ২৫ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ এসে ওয়েংগারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
আর দলীয় ৬৬ রানে আসে চরম অস্বস্তিটা। স্যাটনারের সরাসরি থ্রোতে দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বিনা উইকেটে ৪৬ থেকে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় তিন উইকেটে ৬৬ রান।
এখান থেকে সোমবার শেষ দিনের খেলা শুরু করবেন ১০ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল হক। তবে তার সঙ্গী কে হবেন, এখনও নিশ্চিত নয়। তিন উইকেট হারালেও মূলত এটি ধরতে হবে ৫ উইকেট।
ইমরুল ব্যাট হাতে ফিরতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। একটি কষ্টসাধ্য রান নিতে গিয়ে রানআউট এড়াতে লাফ দেন ইমরুল। এরপর তিনি আর উঠতে পারলেন না।
ফিজিও গিয়ে ইমরুলকে তোলার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ভেঙেচুরে আবার পড়ে গেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন এই বাম-হাতি ব্যাটসম্যান।
গত ২৬ ডিসেম্বর এক দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডেতে। রানআউট এড়াতে লাফ দিয়েছিলেন ৪২ রানে থাকা মুশফিকুর রহিম। এরপর তিনি পরবর্তী দুই ওয়ানডে ও দুই টি ২০ মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি।
মুশফিক বিনা বাংলাদেশ দলের মিডল-অর্ডারের যে কি খারাপ অবস্থা হয়, তা পুরো সিরিজে দেখেছে বাংলাদেশ।
এমনকি ওয়েলিংটনের এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলবার পরও শেষ পর্যন্ত ফিল্ডিং করা হয়নি মুশফিকের।
ফলে নিশ্চিত ড্র হতে যাওয়া টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য।
অবশ্য এতেই ওয়েলিংটন টেস্টে বাংলাদেশ স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২২ রানে এগিয়ে এগিয়ে রয়েছে।