শনিবার দিনগত রাতে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম যুগান্তরকে জানান, রুবনকে থানাতেই রাখা হয়েছে। বিষয়টি রুবনের পরিবারের পক্ষ থেকে আপসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দু’পক্ষ সহমত হলে রুবনকে উপযুক্ত অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, তবে আওয়ামী লীগ নেতা লোটন কোনো অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, রুবন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তার বাবা অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহম্মদ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। রুবনও মহানগর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
চারদলীয় জোটসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রুবন সামনের সারিতে থাকতেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন।
সম্প্রতি রুবন তার ফেসবুক পাতায় হাইব্রিড আওয়ামী লীগসহ মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা রাফিউস সামস প্যাডিসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এ নিয়ে হুমকি পাল্টা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে রুবন শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় লোটনের বাসার সামনে গিয়ে গালাগালি করছিলেন। পরে লোটনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রুবনকে আটক করে নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে রুবন মদ্যপ অবস্থায় লোটনের বাড়িতে গিয়ে গালাগালি করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে জোর করে বাসার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালান তিনি। রাত দেড়টা পর্যন্ত রুবন এই চেষ্টা করেন।
পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ নগরীর কাদিরগঞ্জের লোটনের বাসার সামনে থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রুবনের বাড়িও নগরীর কাদিরগঞ্জে এবং লোটনের সঙ্গে তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।যুগান্তর।