ক্রাইমবার্তা রিপোট:আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: পৌষের শেষ থেকেই প্রচ- শীতের ছায়া নেমে এসেছে গ্রাম্য জনপদে। শীতের তীব্রতা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তাছাড়া বাঘ কাঁপানো মাঘের শুরু তো হয়েই গেল। তাই চলছে শীতের কবল থেকে বাঁচতে মানুষের বহুমুখী চেষ্টা। তবে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে মানুষজন।
জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার ধারে কিংবা বাড়ির উঠানে আগুন জ্বালিয়ে আগুনের চারপাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে লোকজন আগুন পোহাতে দেখা যায়। আগুনের ধারে বসে শীত নিবারনের চেষ্টা করেনি এমন মানুষ গ্রামাঞ্চলে খুঁজে পাওয়া কঠিন। অবশ্য শীতে সতেজ থাকার একটি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় মাধ্যম আগুন জ্বালানো।
শীতের সকালে বাড়িতে যখন পিঠা-পুলি তৈরির উৎসব চলে তখনও দেখা যায় কেউ কেউ হাতদুখানা তাক করে চুলার পাশে দাঁড়িয়ে। পিঠার খাওয়ার জন্য নয়! বরং নিজেকে একটু গরম রাখতে এমন প্রচেষ্টা। সকালে মসজিদ কিংবা মক্তবে আরবী পড়ে বাড়ি ফিরে বাচ্চারাও বসে পড়ে আগুনের ধারে। তাছাড়া গরম গরম পিঠা কার আগে কে নেবে সেই প্রতিযোগিতা তো আছেই।
রাতের বেলা তো কথাই নাই। মাঠে, দোকানের পাশে কিংবা বাজারের এককোণে সুযোগ পেলেই খড়কুটা, পলিথিন, কাঠ যা হাতের কাছে থাকে তা দিয়েই আগুন জ্বালাচ্ছে অনেকে। অবশ্য আগুন জ্বালানোর আগে অত বেশি মানুষ থাকে না, যত বেশি মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় আগুন জ্বালালে।
গত পরশু সদর উপজেলার মান্দারীতে শ্যামল নামে একজন বলেছেন, শীতে তার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়। তাই খড়কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বসলো। পাশেই ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ। পরে অবশ্য মাঠের খেলোয়াড়রাও আগুনের ধারে গিয়ে বসতে দেখা গেছে।