ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:হাসি-কান্না মিলিয়ে ঘটনাবহুল টেস্ট বলতে হয় ওয়েলিংটন টেস্টকে। একের পর এক রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ, আনন্দের জোয়ারে ভাসা। আবার টাইগারদের ইনজুরি চোখে পানি আনা। তবে শেষটা ভালো হলে স্মরণীয় টেস্টই হয়ে যেতো।
টেস্ট চলাকালীন চোট পেয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম ও ইমরুল কায়েস। আর বুকের পাজরের ব্যথাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মুমিনুলের।
টেস্টের শেষ দিনে মাথায় বলের আঘাত লেগেছিল মুশফিকের। মাঠ থেকে হাসপাতাল। সেখান থেকে ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে রিলিজ দিলেও কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের কথা বলে দেয়া হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টও অধিনায়কের দিকে বিশেষ নজর রেখেছে। কোনো রকম উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া আছে। আশা করা যাচ্ছে, তার আর দরকার হবে না।
মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম দুপুরে ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছে জানান, মুশফিক সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালোই আছে। দ্রুত সুস্থ হওয়ার পথে। এখন আর কোনো রকম সমস্যা নেই। সবার সাথে কথা বলছে।
এদিকে অধিনায়ক দ্রুত সুস্থ হওয়ার পথে হাঁটলেও বাকি দু’জন মানে- ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হকের অসুস্থতা কাটেনি এখনো। টাইগাররা ওয়েলিংটন থেকে ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছলেও ইনজুরি তাদের পিছু ছাড়েনি। সাথে সাথেই আছে। ইমরুলের উরুর সমস্যা কমেনি। আবার মুমিনুলের বুকের পাজরের ব্যথাটাও আছে।
তাদের সত্যিকার সমস্যা খুটিয়ে দেখতে ব্যতিব্যস্ত ফিজিও ডিন কনওয়ে। খালি চোখে সত্যিকার সমস্যা নিরুপণ করা কঠিন। তাই অনেকটা এমআরআইয়ের আদলে আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান করা হয়েছে দু’জনের। ম্যানেজার সাব্বির খান ও ফিজিও ডিন কনওয়ে ওয়েলিংটন থেকে বিমান ভ্রমণের পর টিম হোটেলে ঢুকে চেক ইন করে বিশ্রামের ফুরসত পাননি।
দুপুরের খাবার খেয়ে ইমরুল ও মুমিনুলকে নিয়ে ছুটতে হয়েছে আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান করতে।