ক্রাইমবার্তা রিপোট:নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার রায় নিয়ে বিএনপি আপাতত স্বস্তিতে আছে। তবে রায় কার্যকর হওয়া নিয়ে জনগণ শঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসনে আলাল।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ হত্যা মামলার রায় নিয়ে মানুষের কাছে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। কারণ এখনো বেশ কয়েকটি আদালত রয়েছে। এ সরকার বড় গলায় বলে যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন আছে। কিন্তু তার প্রমাণ পাওয়া যাবে উচ্চ আদালতে এই রায় বলবৎ থাকলে। তবে মামলার রায় হলেও কার্যকর নিয়েও শঙ্কিত দেশের জনগণ। কারণ বর্তমান রাষ্ট্রপতির আমলেই, অনেক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। আর যাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ। এই মামলায় যারা ফাঁসির আসামি তাদের যদি আবার রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেয় তবে আইনের শাসনের প্রকৃত কারযকর হবে না এবং মানুষের প্রত্যাশাও পূরণ হবে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বাংলাদেশে আইনও আছে শাসনও আছে, কিন্তু প্রকৃত শাসন নেই। বাংলাদেশের আইনের শাসন মানে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, জুলুম এবং যাতে তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার পক্ষে। তবে এই মামলায় রায়ের বিএনপি আবাদত স্বস্তি পেয়েছে।
দেশের টাকা বিদেশে পাচার হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, দেশের টাকা প্রতিবছরই বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। কত টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে তার হিসেব সরকারের কাছেও নেই। আর এটি হচ্ছে হ্যাকিং এর মাধ্যমে যার অবদান আওয়ামী লীগের। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া অতপর তা পরিশোধ না। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আগে পুকুর চুরি হচ্ছে এখন সাগর চুরি হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে সকলের উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য খালেদা জিয়াই প্রথম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে একেক জন একেক রকম কথা বলছে। তাদের কথার মধ্যেই অস্থিরতা রয়েছে।
সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে যে নামের কথা শোনা যাচ্ছে তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আবার যদি আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক, তাদের দোসর কোনো ব্যাক্তিকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে জনগণ মেনে নিবে না। আর বিএনপি যেহেতু জনগণের অধিকার নিয়ে কাজ করে সুতরাং এটি বিএনপিও মেনে নিবে না। এর বিরুদ্ধে যতরকম ব্যবস্থা নেয়া দরকার বিএনপি নিবে। রাষ্ট্রপতির প্রতি আমাদের আস্থা আছে তবে রাজনৈতিক ভাবে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে তা মেনে নেয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, আবদুল আউয়াল খান, ছাত্রদলের ইসতিয়াক হোসেন নাসির, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।