ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:ম্যাচটা ছিল অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবু পার্থের ওয়ানডেতে চোখ রাখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এ ম্যাচটি জিতে গেলেই যে বাংলাদেশকে টপকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সাতে চলে যেত পাকিস্তান। তবে আপাতত সেটি হয়নি, রেটিং পয়েন্টে বাংলাদেশের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়েই থাকল পাকিস্তান। পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে জিতে নিল স্টিভ স্মিথের দল।
জয়ের জন্য পাকিস্তানের ফিল্ডিংকে ধন্যবাদ দিতেই পারে অস্ট্রেলিয়া। ২৬৩ তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। সেটি প্রায় তিন উইকেট হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু পিটার হ্যান্ডসকম্বের দেওয়া সহজ ক্যাচটা হাত ফসকে গেল মোহাম্মদ নওয়াজের। আবারও কপাল পুড়ল জুনায়েদ খানের।
‘আবারও’ লিখতে হচ্ছে, কারণ এর ৪ ওভার আগেই হ্যান্ডসকম্বকে শূন্য রানে আউট করেছিলেন জুনায়েদ। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মাঠ থেকে যখন প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখনই ডেকে আনা হলো তাঁকে। জুনায়েদের পা যে পেরিয়ে গেছে বোলিং মার্কের দাগের বাইরে! বেঁচে গেলেন হ্যান্ডসকম্ব। তাতেই নিজের রেকর্ডটা অক্ষুণ্ন থাকল এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। টেস্টে এখনো পঞ্চাশ রানের নিচে আউট হননি হ্যান্ডসকম্ব, ওয়ানডেতেও তাই হলো। অবশেষে যখন আউট হলেন, ততক্ষণে তাঁর রান ৮২।
তৃতীয় উইকেটে স্মিথ-হ্যান্ডসকম্বের জুটি ১৮৩ রানের। হ্যান্ডসকম্ব শেষ করে আসতে না পারলেও স্মিথ দলের জয় নিশ্চিত করেই ফিরেছেন। অধিনায়কের ১০৪ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংসেই ৫ ওভার বাকি থাকতেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে বাবর আজমের রেকর্ড গড়া এক ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৩ রান করেছিল পাকিস্তান। ৮৪ রানের ইনিংসটির মাঝপথেই বাবর পেরিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এক হাজার রানের মাইলফলক। মাত্র ২১ ইনিংস লাগল তাঁর এ মাইলফলক ছুঁতে। তাঁর আগে ২১ ইনিংসে এক হাজার রান করেছেন আরও চারজন—ভিভ রিচার্ডস, কেভিন পিটারসেন, জোনাথন ট্রট ও কুইন্টন ডি কক। কিন্তু সে ইনিংসও কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ দশ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫০ রান তুলেছে পাকিস্তান। ম্যাচের ভাগ্য আসলে লেখা হয়েছে তখনই।
Check Also
‘পাকিস্তান দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ পণ্ড হয়, …