ক্রাইমবার্তা রিপোট:সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ৪৭তম বার্ষিক সভায় যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের সময় বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৮ মিনিটে) এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-০৮৮ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে জুরিখ আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরে স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান।
যাত্রাপথে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা বিরতি করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর এমিরেটস এয়ারলাইন্সের আরেক ফ্লাইটে (ইকে-৫৮২) দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তিনি। ডব্লিউইএফের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডে পাঁচ দিনের সফরে ১৬ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। আবুধাবি হয়ে ওই দিন রাতেই জুরিখে পৌঁছান তিনি। সফরকালে শেখ হাসিনা দাভোসের সিলভ্রেত্তা পার্ক হোটেলে ছিলেন। ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস সোয়াবের আমন্ত্রণে সংস্থাটির বার্ষিক সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রথম কোনো নির্বাচিত সরকারপ্রধান হিসেবে এ সভায় অংশ নেন শেখ হাসিনা।
সফরকালে ডব্লিউইএফের উদ্বোধনী, প্লেনারিসহ বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ হয় তার। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে শুভেচ্ছা জানান। ক্রিয়াশীল ও দায়িত্ববান নেতৃত্ব শীর্ষক স্লোগানে ১৭ জানুয়ারি সকালে দাভোসের কংগ্রেস সেন্টার শুরু হয় ডব্লিউইএফের বার্ষিক সভার আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বনন্দিত সংগীতশিল্পী শাকিরার গান পরিবেশন, ভায়োলিন বাদক আনি সোফি মাটারের মিউজিক্যাল কনসার্ট এবং ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা ক্লস সোয়াবের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে শুরু হয় এই সভা। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সভার উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বের ৪৫টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এতে অংশ নেন। অংশ নেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), ইউনেস্কো, ইউএনডিপি, আঙ্কটাড, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবিসহ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ও ৭০টি দেশের সরকারের প্রতিনিধিরা। এই সভা তিন হাজার শীর্ষ ব্যবসায়ী, আর্ন্তজাতিক রাজনৈতিক নেতা, শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকদের এক জায়গায় মিলিত হওয়ার সুযোগ করে করে দেয়।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বদরবারে আরও সমুন্নত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকও ছিলেন।