ড. খন্দকার মোশাররফের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ১/১১’র ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন দাবি মওদুদের

ক্রাইমবার্তা রিপোট:২০০৭ সালের ১/১১’র ঘটনা তদন্তের জন্য সুপ্রীম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতিকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ওই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকিকরণ করা। মঈন-ফখরুদ্দিন শুধু খালেদা জিয়ার সাথে নয় বাংলাদেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা দুই ২০০৭-২০০৮ এই দুই বছরে ক্ষমতায় থেকে দেশের অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা এবং রাজনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এগুলো নিরপেক্ষভাবে তদন্তের জন্য আমি একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই কমিশন গঠন করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত ‘জরুরি আইনের সরকারের দুই বছর (২০০৭-২০০৮)’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, অর্থনীতিবিদন ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিহুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

খন্দকার মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতান সর্দার মোহাম্মদ নূরুজ্জামান প্রমুখ।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার ১/১১’র সরকারেরই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়। আজকে বিচার বিভাগের ওপর যে নিয়ন্ত্রণ তার ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন এর সময়ই শুরু হয়। তারা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করে। আদালতে মিলিটারি লোকেরা বসে থাকতো। তারা মনিটরিং করতো।

বইটি প্রকাশ করেছে আহমদ পাবলিশিং হাউজ। কমিশন বাদে বইটির মূল্য ৪০০ টাকা। এই বইয়ে ওয়ান ইলেভেনের সময়কার বেশকিছু ঘটনা তুলে ধরে হয়েছে।

মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে দেশের মানুষ গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কেননা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। সেদিন ৫ কোটি লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে উল্লেখ আছে যে, যদি কেউ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদ-। তাহলে যারা ২০০৭ সালে ক্ষমতায় এসে দুই বছরে দেশকে ধ্বংস করেছে তাদের কর্মকা- তদন্তের জন্য বিচারবিভাগীয় কমিশন দরকার।

অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, ১/১১’র ঘটনা ছিল সামরিক অভ্যুত্থান। বর্তমান সরকারও সামরিক না হলেও সামরিক বাহিনীর আদলেই পরিচালিত হচ্ছে। তাদের কাছে কোনো সভা-সমাবেশের অনুমতি চাইলে তা অস্বীকার করছে। তারা সামরিক বাহিনীর মতোই আচরণ করছে। কিন্তু আমরা আইয়্যুব খানকে দেখেছি। তিনি বেশিদিন টিকতে পারেননি।

 

Check Also

সন্ধ্যায় আবারো সড়ক অবরোধ তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ না করায় আবারো সড়ক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।