ক্রাইমবার্তা রিপোট:মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য যারা মিথ্যা সাক্ষী দিবেন ওইসব মুক্তিযোদ্ধাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের গোকুলদাসের বাগ এলাকায় আলহাজ্ব আমিজউদ্দিন এতিমখানার ছাত্রদের জন্য নির্মিতব্য তিন তলা বিশিষ্ট সানড্রা ম্যাককারসি হলের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রত্যেক শনিবার এ কার্যক্রম চলবে। ৫ শনিবার ব্যাপী এই যাচাই বাছাই চলবে। যাতে কোন অসত্য তথ্য দেয়া না হয় এ জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য যারা মিথ্যা সাক্ষী দিবেন ওইসব মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এক থেকে ৩ বছর বন্ধ থাকবে। আইন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা পাওয়ার পর আইনানুগ ভাবে তাদের সম্পদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে কোন পেপারস লাগবে না। পেপারস ম্যান্ডেটরি নয়। যদি সহযোদ্ধারা সাক্ষী দেয় এবং বলে সে ট্রেনিং নিয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে। তাহলে এটাই যথেষ্ট। মুক্তিযুদ্ধ বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। কেউ একা একা যুদ্ধ করেনি।
তিনি আরো বলেন, যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। তা অনুসরণ করে যাচাই বাছাই হলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আসার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও যদি কোথাও বরখেলাপ হয় তাহলে সেটা বাতিল করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, যেসব আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠে, তারা হাল আমলের নেতা। বঙ্গবন্ধুর আমলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ শুনি নাই। হাল আমলে ভালোর মধ্যে মন্দ লোক ঢুকে গেছে। মন্দরা ধিক্কৃত হবেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে একদল লোক আছে যারা বলে, মানুষ মারলেই বেহেস্তের সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। মানবতার জন্য কাজ করার কথা কোরআনে আছে, হাদিসে আছে। এ শিক্ষা না নিয়ে তারা মানুষ হত্যা করছে। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মিথ্যাচার করে ইসলামকে কলংকিত করছে। এদের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
রোটারিয়ান এম জামালউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা গভর্নর রোটারিয়ান মুহাম্মদ আইয়ুব, নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন গভর্নর পিডিজি সানড্রা ম্যাককারসি, তার নাতনী হান্না রোজ, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম, অধ্যাপক একেএম হাফিজউল্লাহ, এ এফ এম আলমগীর, কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, রোটারিয়ান কামরুজ্জামান বুলেট, রোটারিয়ান কমল খান প্রমুখ।