ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক: অসাধ্যসাধন হলো না পাকিস্তানের। জিততে হলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে হতে পাকিস্তানকে। তা তো হলোই না, ৩৫৪ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান থেমে গেল ২৬৭ রানেই। ম্যাচ হারল ৮৬ রানে, তাতে সিরিজে হারও নিশ্চিত হলো।
ওপেনার শারজিল খান যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, পাকিস্তানের জয়ের আশাও ভালো টিকে ছিল। দ্বিতীয় ওভারে ওপেনিং সঙ্গী আজহার আলীকে (৭ রান) হারালেও অন্য প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন শারজিল। ১০ চার, ৩ ছক্কায় বাঁহাতি ওপেনার ৪৭ বলে করেছেন ৭৪ রান। তবে অ্যাডাম জাম্পার বলে ওয়ার্নারের ক্যাচ হয়ে তিনি ফিরতেই পাকিস্তানের ইনিংসের গতি হারায়।
যা শেষ পর্যন্ত আর উদ্ধার করতে পারেনি পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজও আশার ভেলা ভাসিয়ে রেখেছিলেন পাকিস্তানের জন্য। ৩০ ওভার সমাপ্তির পথে ৩ উইকেটে ১৮৩ তুলল পাকিস্তান। কিন্তু ওই ওভারের শেষ বলে হাফিজ ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই যে হালও ছেড়ে দিল দল। ৮৪ রানে শেষ ৭ ব্যাটসম্যানের ফিরে আসা যেন তারই প্রমাণ। বাবর আজম (৩১), মোহাম্মদ হাফিজ (৪০), শোয়েব মালিকদের (৪৭) মাঝারি ইনিংসগুলো আরেকটু বড় হলে ফলটা অন্যরকম হলেও হতে পারত।
কে জানে, হয়তো রেকর্ডের চাপেই এমন কুঁকড়ে গেছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি ৩৩৪ রানের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। গত বছর অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৩১ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় ৩৩০ তাড়া করে জেতার রেকর্ডও এই দুটি। আজ সেই রেকর্ডই ভাঙতে হতো পাকিস্তানকে, কিন্তু তার ধারে-কাছেও যাওয়া হলো না।
পাকিস্তানকে এমন কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করেই চলেছেন এই বাঁ হাতি। শুরুটা হয়েছিল গত বছরের জানুয়ারিতে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে সেই রান-বসন্ত যেন চলছেই। গত বছরই করেছিলেন সাতটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
এই বছরটা অবশ্য শুরু হলো একটু অন্যভাবে। টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম তিন ওয়ানডেতে রান পাননি। তবে চতুর্থ ম্যাচেই আবার জ্বলে উঠল তাঁর ব্যাট। বিধ্বংসী এই ওপেনারের ১১৯ বলে খেললেন ১৩০ রানের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে স্মিথ করেছেন ৪৯ রান। ৩৬ বলে ৫১ রান করেছেন হেড। আর ৪৪ বল খেলে ম্যাক্সওয়েলের রান ৭৮। সব মিলে ৬ উইকেটে ৩৫৩ রান করে স্বাগতিকেরা।
সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলেও পাকিস্তানের আর বাংলাদেশকে টপকে যাওয়া হবে না। আপাতত সাত নম্বর জায়গাটা তাই সুরক্ষিত থাকল বাংলাদেশের।