ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: গাম্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ ২২ বছর দেশটি শাসন করার পর শনিবার রাতে সপরিবারে বানজিল ত্যাগ করে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আপাতত গিনিতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এটাই তার অবস্থানের শেষ ঠিকানা নয়। তিনি সেখান থেকে অন্য কোনো দেশেও চলে যেতে পারেন। নির্বাচনের পর তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট আদামা বাররোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করলে আঞ্চলিক সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
দেশ ত্যাগের জন্য তিনি বিমানের সিঁড়ি বেয়ে বিমানের ভিতরে প্রবেশের আগে ঘুরে দাঁড়ান। তাকিয়ে দেখেন সেখানে অনেক লোকজন জড়ো হয়েছে। তিনি প্রথমে তার কোরআন-এ চুমু খান এবং শেষ বারের মতো তার সমর্থকদের দিকে হাত নাড়েন। তাদের মধ্যে তার অনুগত সেনাবাহিনীও ছিল।
দেশ ত্যাগের ২৪ ঘন্টা আগেই তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। আর এটাই গাম্বিয়ায় এই প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর। তার ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপও ছিল প্রবল। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, জামেহর শাসনামলে অনেক গাম্বিয়ানই দেশ ত্যাগ করেছে। তারপরও তার সমর্থকরা বিমানবন্দরে তার দেশ ত্যাগ উপলক্ষে সমবেত হয়েছেন। তারা দেখেন তিনি কিভাবে লালগালিচা মাড়িয়ে বিমানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট জামেহ ১৯৯৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা থেকে সরে গেলে পশ্চিম আফ্রিকার সেনা বাহিনীর চাপের মুখে। সেনারা গাম্বিয়ান ঢুকেন জামেহকে গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করাতে। সূত্র : গার্ডিয়ান