ক্রাইমবার্তা রিপোট: মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান আলী (এফ এফ)’র ভাগ্যে স্মীকৃতি মেলেনি। দেশ স্বাধীকার লড়াইয়ে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান নেন তিনি। চলে তুমুল লড়াই। জীবন বাজি রেখে দেশের দামাল ছেলেরা স্বাধীনতা অর্জন করে। সোলাইমান আলী তাদের একজন। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও মুক্তিযোদ্বা স্বীকৃতি অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার বজরুক হরিণা গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে সোলাইমান আলী (৬৫)। স্বাধীনতা যুদ্বের সময় পতিরাম ইওথ ক্যাম্প এম এ মহিউদ্দীন আহম্মদের তত্বাবধানে ৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষন গ্রহণ (সার্টিফিকেট নং ২৪২৮০) করেন। দিনাজপুর ৭ নং সেক্টরে যুদ্বে অংশ গ্রহণ করেন । পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করে লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে মায়ের কোলে ফিরে আসেন। সংসারের অভাব অনটন থাকায় জীবিকার সন্ধানে ঠাকুরগায়ের রাণীশংকৈলে আসেন। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রাণীশংকৈল শাখায় ছোট একটি পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরীর অল্প আয়ে পরিবারের ব্যয় ভার বহন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। অনেক কষ্টের মাঝে তিল তিল করে ৭ ছেলে ও ১ মেয়েকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সংসারে অস্বচ্ছলতা থাকায় কাজের চাপে সময়ের অভাবে পরবর্তীতে যুদ্বকালীন সাথীদের সাথে সেভাবে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়ে উঠেনি। বর্তমানে চাকুরী শেষ করে অবসরে আছেন। চাকরী চলাকালীনে অনেকবার মুক্তিযোদ্বা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন লাভ করতে পারেন নি। বর্তমান সরকারের দেওয়া মুক্তিযোদ্বা সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিতে হচ্ছে । অন্যদিকে সহযোদ্বারা সার্টিফিকেট পেয়েছে। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্বা বিষয়ক মন্ত্রী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা কাউন্সিলের নিকট জোর আকুতি জানিয়েছেন শেষ বয়সে তাকে যেন মুক্তিযোদ্বা সন্মানটুকু দেওয়া হয়। এতেই তিনি মরেও শান্তি পাবেন। মুক্তিযোদ্বা সোলাইমান আলীর নিকট তৎকালীন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সার্টিফিকেটের মূল কপি রয়েছে।