ক্রাইমবার্তা রিপোট:রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসঙ্ঘ, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের বৃহত্তর ভূমিকা চেয়েছে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া।
সম্প্রতি কুয়ালালাপুরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো শ্রী আনিফা আমান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মালয়েশিয়ার উদ্যোগে কুয়ালালামপুরে আয়োজিত ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ সম্মেলনের সাইডলাইনে তারা বৈঠক করেন।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
আনিফা আমান ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠক ডাকার প্রেক্ষিপট বর্ণনা করে শাহরিয়ার আলমকে বলেন, মিয়ানমার ১৬০ কোটি মুসলমানের কণ্ঠস্বরকে অবজ্ঞা করতে পারে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং তিন লাখ অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানের কথা মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কোনো আন্ত:ধর্মীয় সমস্যা নয়, বরং এটি রাখাইন রাজ্যের রাষ্ট্রহীন নিপীড়িত মুসলিম জনগোষ্ঠীর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন।
মালয়েশিয়ার সাথে বিদ্যামান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক খাতে ক্রমবর্ধমান আলোচনা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে। বাংলাদেশকে শ্রমশক্তির আনুষ্ঠানিক উৎস হিসেবে ঘোষণা করায় মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী। জিটুজি প্লাস পদ্ধতি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানির ক্ষেত্রে অতীতের জটিলতাগুলো দূর করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এই উদ্যোগ সফল করতে বাংলাদেশের সব ধরনের সহায়তার নিশ্চয়তা দেন শাহরিয়ার।