টিপিপি বাতিলে ট্রাম্পকে স্যান্ডার্সের প্রশংসা, নাখোশ ম্যাককেইন

ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি (টিটিপি) থেকে বের করে আনার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন ডেমোক্রেটিক নেতা বার্নি স্যান্ডার্স। তবে এই সিদ্ধান্তকে ‘গুরুতর ভুল’ বলে উল্লেখ করেছেন সিনেটর জন ম্যাককেইন।

ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্থানীয় সময় সোমবার টিটিপি বাতিলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কথাবার্তা বলে আসছিলাম।’ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু সময় পর সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।16

স্যান্ডার্স তার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলেন, ‘একটি নতুন বাণিজ্য নীতি তৈরি করার সময় এখনি। যে নীতিতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোই শুধু লাভবান হবে না একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলোও লাভবান হবে। আমি ভবিষ্যতে এই বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতেও ইচ্ছুক। ’

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৩০ বছর ধরে যে বাণিজ্য নীতি ছিল তার ফলে আমাদের অনেক কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে গেছে ও দেশটির কর্মীদের বেতন হ্রাস পেয়েছে। তাই ট্রাম্প যদি আমেরিকার কর্মীদের সাহায্য করতে নতুন বাণিজ্য নীতি চালু করতে চায় তাহলে তার সঙ্গে কাজ করতে পারার সুযোগ পেলে আমি আনন্দিত হবো।’ টিপিপি মৃত ও সর্বসান্ত হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন স্যান্ডার্স। স্যান্ডার্স ছাড়াও এই সিদ্ধান্তের আরও প্রশংসা করেন শ্রেড ব্রাউন।

তবে টিপিপি থেকে বেরিয়ে আসার ফলে নেতিবাচক প্রভাব পরবে বলে জানিয়েছেন সিনেটর জন ম্যাককেইন। তিনি বলেন,‘টিপিপি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত ‘গুরুতর ভুল’। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের কৌশলগত অবস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ এই সিদ্ধান্তের ফলে ওই অঞ্চলগুলোতে চীনের অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশ টিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করে। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলেও প্রতিটি দেশ এখনও এটি অনুমোদন করেনি।

সোমবার ট্রাম্প কলমের এক খোঁচায় এ চুক্তির ইতি টেনে দিয়ে বলেন, ‘আমরা এই মাত্র যা করলাম সেটি আমেরিকানদের জন্য একটি বিরাট ব্যাপার।’ টিটিপি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১২ টি দেশ মিলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রায় ৪০ ভাগ অবদান রাখে। ওবামা প্রশাসন এই চুক্তির উপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। দ্য হিল,

Check Also

শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া কূটনৈতিক পত্র গ্রহণ করেছে দিল্লি। এ তথ্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।