ক্রাইমবার্তা রিপোট:রংপুরের পীরগাছায় স্টুডিও ব্যাবসায়ী শহিদুল ইসলাম চুন্নু হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামান এ রায় দেন। দন্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ১ জন কারাাগারে এবং বাকিরা পলাতক আছেন।
রংপুর জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফারুখ মো: রেয়াজুল করিম জানান, দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৫ আসামীর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম রায়ের সময় কারাগারে উপস্থিত ছিলেন। আর বাকী আসামী জুয়েল, শাহিন, সুজন, আলম ওরফে আসলাম পলাতক রয়েছে। তারা গ্রেফতার হলে তাদের রায় কার্যকর হবে।
তিনি জানান, রংপুরের পীরগাছা উপজেলা সদরের শহিদুল ইসলাম চুন্নুর দীনা নামের একটি ফটো স্টুডিও ছিল। ২০১২ সালের ২৩ আগষ্ট রাতে একই এলাকার আসামী জুয়েল চুন্নুকে মোবাইলে ফোন ডাকলে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে তার দোকানের দিকে যান। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রী নার্গিস বেগম স্বামী চুন্নুর মোবাইলে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পায়। এ ঘটনায় পরের দিন সকালে পীরগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন তিনি।
২৪ আগস্ট পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার নীলাকুঠি এলাকায় রাস্তার ধারে গলাকাটা অজ্ঞাত লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে নিহত চুন্নুর স্বজনরা মর্গে গিয়ে তার লাশ সানাক্ত করে।
এদিকে আসামী জুয়েল ও শাহিন নিহত চুন্নুর মটর সাইকেল বগুড়ায় বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চুন্নুকে জবাই করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। পরে এ ঘটনায় নিহত চুন্নুর বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে পুলিশ ৫ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।
মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহন শেষে আসামী সিরাজুল ইসলাম, জুয়েল, শাহিন, সুজন, আলম ওরফে আসলামকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন আদালতের বিচারক।
আসামী পক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ শিকদার জানান, এ বিষয়ে উচ্চতর আদালতে আপিল করা হবে।