বিয়ের দাবিতে বিষ নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

ক্রাইমবার্তা রিপোট:দীর্ঘ বছর প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে না করায় বিষের বোতল হাতে নিয়ে শাহাদৎ হোসেন নাছিম নামে এক প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে প্রেমিকা গোলাপী খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার শেরপুরের ছোট ফুলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।21

জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নুরুল ইসলামের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়া ছেলে শাহাদৎ হোসেন নাছিমের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী গাজিউর রহমানের মেয়ে গোপালী খাতুনের সাথে প্রায় ১০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন থেকেই নাছিম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে আসছে। তাদের প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পরিবার ছেলে পক্ষকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরমধ্যে গোলাপী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছেলের পিতা নুরুল ইসলাম পল্লী চিকিৎসক হওয়ায় গোলাপীর চিকিৎসা করাতে চায় সে। এক পর্যায়ে কৌশলে চিকিৎসার নামে গোলাপীকে মোটাতাজা করার ওষুধ খাওয়ালে সে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে বলে গোলাপী’র মা বুলি খাতুন ও তার পরিবার অভিযোগ করেন। পরে গোলাপীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। মেয়েকে সুস্থ করার জন্য গোলাপীর মা একটি কিডনি দান করেন।

এদিকে গোলাপী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে নাছিম ও তার পরিবারকে বিয়ের জন্য বললে তারা অনীহা প্রকাশ করে। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় জানুয়ারির ৮ তারিখে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে মেয়ে পক্ষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেয়ায় আজ সকালে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অনশন শুরু করে গোলাপী।

গোলাপী বলেন, ২০০৬ সাল থেকে নাছিমের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। নাছিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। এখন বিয়ের জন্য তাকে বললে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। তাই বাধ্য হয়ে অনশন শুরু করেছি।

এ ব্যাপারে প্রেমিক নাছিম ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

Check Also

সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে দুবলার চরে গেলেন ৪০১জন পূণ্যার্থী

উপকূলীয় অঞ্চল (শ্যামনগর): পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে রাস মেলায় গেছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।