ক্রাইমবার্তা রিপোট:সার্চ কমিটি একত্রিশটি দলের কাছে সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ৫ জনের নাম চেয়েছে। এরমধ্যে বিএনপিও একটি দল। বিএনপির কাছেও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি যাওয়ার কথা রয়েছে। আজই সকল দলের কাছে ওই চিঠি যাবে। কারণ হাতে সময় মাত্র তিনদিন। মঙ্গলবার বেলা টার মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের কাছে ৫টি নাম পৌঁছে দিতে হবে। বিএনপির তরফ থেকে নাম না দেওয়ার ব্যাপারেই ভাবছে নীতি নির্ধারকরা। কারণ তারা মনে করছেন নাম দেওয়া হলে দলীয় ভাবে করা সার্চ কমিটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আর এতে করে তারা এতদিন যে কথা বলছিল সার্চ কমিটির ব্যাপারে সেটার সঙ্গেও বিরোধিতা হয়ে যাবে। আবার দলের একাধিক নেতা মনে করছেন, নাম দেওয়া যেতে পারে। এই অবস্থায় খালেদা জিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। আজ রাত নয়টা বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে নাম দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করে তিনি দলের নেতাদের মতামতা নিবেন। বেশিরভাগ নেতা নাম দেওয়ার পক্ষে মত দিলে বিষয়টি নিয়ে খালেদা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করবেন জোট নেতাদের সঙ্গে। জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পর তারা যে মত দিবেন এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করবেন। জোটের বৈঠক সোমবার হতে পারে।
বিএনপির সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির যে কজন সদস্য জীবিত রয়েছেন ও দেশে অবস্থান করছেন তারা সবাই অংশ নিবেন। তারেক রহমান বিদেশে থাকায় বৈঠকে অংশ নিতে না পারলেও তিনি তার মতামত দলের চেয়ারপারসনকে জানিয়ে দিয়েছেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, যদি সব দলের কাছে নাম চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও খালেদা জিয়া সিদ্ধান্তটা জোটগতভাবে নিতে চান। বিএনপি নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে জোটের সদস্য সব দল নাম দিবে এবং একই নাম দিবে। কিন্তু নাম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সবাই একযোগে নাম দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ট একজন নেতা বলেন, বিএনপি এখন খুব সতর্কভাবে পথ চলছে। কোন ধরনের ভুল করতে চাইছে না। সরকার ও আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ফাঁদে ফেলতে নানা উপায় বের করছে ও পথ তৈরি করছে। এই অবস্থায় বিএনপি এগুলো এড়িয়ে জনগণকে পাশে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। বিএনপি চায় শান্তিপূর্ণ সমাধান।