ক্রাইমবার্তা রিপোট:জায়গা নিয়ে রাজশাহীতে কারারক্ষী ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদস্যদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির খবর পাওয়া গেছে। জায়গা নিয়ে রাজশাহীতে কারারক্ষী ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদস্যদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির খবর পাওয়া গেছে।
আদালতের রায় পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীসংলগ্ন জায়গা নিজেদের দখলে নিতে আসেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষীরা। এ সময় বিজিবির সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বছরের ৭ আগস্টও একই কারণে কারারক্ষীদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছিল।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরে বিজিবি ও কারাগার কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিজিবির সীমান্তে অবকাশ কেন্দ্রে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজশাহী কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন, জেলার শাহাদৎ হোসেন এবং বিজিবি রাজশাহী সেক্টরের জিটু সারোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহও অংশ নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীরামপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন পদ্মা নদীর পাড়ে বিজিবি ‘সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র’ নামে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করেছে। জায়গাটি নিজেদের দাবি করে দুপুর ১২টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের জায়গা বুঝিয়ে নিতে গেলে কারারক্ষীদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁরা বিজিবিকে বারবার অনুরোধ করেছেন তাঁদের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ না করতে। কিন্তু বিজিবি তা শোনেনি। তারা সেখানকার গাছপালা কেটে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করছে। জেল সুপার জানান, তাঁরা গত ২২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁদের জায়গা বুঝে নিতে যান। কিন্তু এ সময় বিজিবি সদস্যরা বাধা দেন। বিজিবি সদস্যরা কারারক্ষীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হালিমা খাতুন আরো বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখন মন্ত্রণালয় ও কারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তবে জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ভবনের বাইরে আপাতত কারারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করবেন।’
এদিকে, বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলার সময় বিজিবির কর্মকর্তা সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘জায়গাটি কারাগারের হলেও এখানে বিজিবি একটি ভবন নির্মাণ করেছে। কাজেই এই অবস্থায় আপনারা (কারা কর্তৃপক্ষ) জায়গা বুঝে নিতে পারবেন না। এটি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা শেষে বিষয়টি নিয়ে সমাধানে আসব আমরা। তবে আপাতত আপনারা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।’