ক্রাইমবার্তা রিপোট:জি,এ, গফুর, পাইকগাছা ॥খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, বর্তমান সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার আলোকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের চলমান এ উন্নয়নের ধারা আগামীতে অব্যাহত রাখতে হলে ২০১৯ সালের নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে উল্লেখ করে এ লক্ষে নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী এলাকার মানুষের যে ভালবাসা পেয়েছি তার ঋণ কখনও শোধ হবার নয়। আমি বেঈমান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য মৃত্যুর আগপর্যন্ত এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। তিনি মঙ্গলবার বিকালে পাইকগাছা উপজেলার মৌখালী মোল্লাবাড়ী মাঠে চাঁদখালী ইউনিয়নবাসী আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আ’লীগনেতা আখতারুজ্জামান সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হাদী, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদ সদস্য জয়ন্তী রাণী সরদার, নাহার আক্তার, শেখ কামরুল হাসান টিপু, আব্দুল মান্নান গাজী, হাবিবুল্লাহ বাহার, সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, জহুরুল হক বাচ্চু, ওসি মারুফ আহম্মদ, ওসি (কয়রা) শেখ শমসের আলী, ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম, আ’লীগনেতা গাজী রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, শেখ মনিরুল ইসলাম, সরদার জাকির হোসেন, সাইফুল খান, শেখ রাসেল কবির, জামিল খান, সুমন খান, বেগ আমীন। বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদুর রসুল বাবু, কওসার আলী জোয়াদ্দার, কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন, শফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, সাবেক অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান, রতন ভদ্র, যুগোল কিশোর দে, শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, বিধান চন্দ্র রায়, রেজাউল ইসলাম, আরিফ চৌধুরী, রাসেল আহমেদ, কংকন মোড়ল, জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান, মনির হোসেন, সানি রহমান, দাউদ শরীফ, মাসুদুর রহমান মন্টু, নুরুল ইসলাম, মিনারুল ইসলাম ও মাওঃ আফছারউদ্দীন ফিরোজী।
পাইকগাছায় আশার আলো প্রকাশনার সহায়ক বই বিক্রেতার হুমকিতে অন্যান্য বিক্রেতারা ভীত-সন্ত্রস্ত
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥পাইকগাছায় সহায়ক বই বিক্রেতাদের অত্যাচারে অতিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা রয়েছে মহাবিপাকে। শিক্ষকরা বিক্রেতাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। মেধার বিকাশ ঘটাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা উপেক্ষিত। আশার আলো প্রকাশনার বই বিক্রেতার হুমকিতে অন্যান্য বিক্রেতারা ভীত-সন্ত্রস্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা।
পাইকগাছা উপজেলায় ১৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক ও কলেজে বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি সহায়ক বই হিসেবে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই ক্রয় করে থাকে। ইতিপূর্বে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বইয়ের দোকানে এসে যাচাই-বাছাই করে মানসম্মত সহায়ক বই ক্রয় করত। যা থেকে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো সম্ভব ছিল। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি নোট বই বাতিল ঘোষণা করলে বিভিন্ন প্রকার নোট বই প্রকাশকরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করে। উচ্চ আদালত নোট বইয়ের পরিবর্তে সহায়ক বই হিসেবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটানোর জন্য আদেশ প্রদান করেন। এরপরেও প্রকাশকরা বিভিন্ন বিষয়ের নোট বইগুলোকে গাইড বইতে পরিণত করে বাজারজাত করতে থাকে। বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গাইড বই বিক্রয় ও কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে প্রকাশকরা আদালতের আদেশের উপর নির্ভর করে সহায়ক বই হিসেবে বর্তমানে বাজারে ছেড়েছে। এছাড়া বই বাজারজাত করণের জন্য প্রকাশকরা প্রতি এলাকায় একজন করে বিক্রেতা নিয়োগ দিয়েছেন। পাইকগাছায় আশার আলো, জুপিটর, অনুপম, লেকচার, ইন্টারনেট, সংসদ, ক্লাসিক, ফুলকুড়ি, অভিনব, জ্ঞানসমুদ্র সহ বিভিন্ন প্রকাশনীর বই পাইকগাছার বিভিন্ন লাইব্রেরীতে বিক্রয় হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিক্রেতারা বিভিন্ন স্কুল এবং শিক্ষকদেরকে অর্থ সহ বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে স্ব-স্ব প্রকাশনার বই বিক্রয়ের জন্য ম্যানেজ করে থাকে। এদিকে আশার আলো প্রকাশনার বিক্রেতা মমিনুর রহমান তার প্রকাশনার বই ছাড়া অন্য কোন প্রকাশনার বই পাইকগাছায় বিক্রয় করতে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন বিকালে পাইকগাছা বই বিক্রয়ের মার্কেটে এসে বিভিন্ন দোকানদারকে এবং শিক্ষার্থীদের তার বই ক্রয়ের জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে। এমনকি কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবক বই ক্রয় করতে আসলে তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অথবা সহকারী শিক্ষকের নিকট মোবাইল ফোনে উক্ত প্রকাশনীর বই ক্রয়ের জন্য হুমকি প্রদান করে থাকে। মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষক জানান, আশার আলো প্রকাশনার বই নিম্নমানের বলায় আমাকে হুমকি প্রদান করা হয়েছে। মমিনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মন্ডলী শিশুদের মেধার বিকাশ ঘটনার স্বার্থে যাচাই-বাছাই পূর্বক বই ক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।