সাঁওতালপল্লীতে হেলমেট পরে আগুন দিয়েছে পুলিশ: তদন্ত প্রতিবেদন

ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে আগুন দেয়ার ঘটনায় একজন ডিবিসহ তিন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে আদালতকে জানিয়েছেন গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচার বিভাগীয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর কথা সাংবাদিকদের জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। 6

পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করতে না পারার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে কি উল্লেখ করা হয়েছে? জানতে চাইলে মোতাহার সাজু বলেন, তদন্ত কমিটি সাঁওতাল, পুলিশ, স্থানীয় জেলা প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়েছেন। কেউই সুষ্পষ্টভাবে জড়িতদের বিষয়ে বলতে পারেনি।

স্থানীয় পুলিশ সুপারের কাছে ওইদিন ডিউটিরতদের তালিকা চেয়েছিল তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ ঘটনায় অন্য একটি তদন্ত চলমান থাকায় তারা তাৎক্ষণিকভাবে তালিকা সরবরাহ করতে পারেনি।

তবে আগুন দেয়া লোকদের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে দু’জন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি লেখা ব্যক্তিকেও দেখা গেছে। তবে ঘটনার সময় অগ্নিসংযোগকারীদের মাথায় হেলমেট থাকায় এবং ঘটনার যেসব ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তা দূর থেকে সংগ্রহ করায় জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে আদালতকে জানান তদন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেঞ্চের একজন বিচারপতি, রিটকারী সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, রাষ্ট্রপক্ষ, চিনিকল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এই প্রতিবেদনের কপি সরবরাহ করতে বলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীর চিনিকল কর্তৃপক্ষের জমি দখলে নিতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় গোলাগুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। এই হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং সাঁওতালরা হাইকোর্টে তিনটি পৃথক রিট আবেদন করেন। যার মধ্যে দুটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।