ক্রাইমবার্তা রিপোট: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ গ্রুপের আনিসুর রহমান শিশির (বহিষ্কৃত) ও জহির রায়হান আগুন পক্ষের সাথে মাদারীপুর গ্রুপের কামরুল ইসলাম ও শামীমের পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে করে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার আনিসুর রহমান শিশির ও মাদারীপুর গ্রুপের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক স্বাধীন আহম্মেদ বাদশার মারামারির জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান শিশির (বহিষ্কৃত) ও সাংগাঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান আগুনের (সাময়িক বহিষ্কৃত) নেতৃত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও শামীমের কর্মীদের ধাওয়া করে। পরবর্তীতে সাংগাঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও শামীমের নেতৃত্বে আনিসুর রহমান শিশির ও জহির রায়হান আগুন গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া করে। এতে করে তারা আত্মরক্ষার্থে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন ও ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেয়। এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক স্বাধীন আহম্মেদ বাদশা (৭ম ব্যাচ), নবীন (৭ম ব্যাচ), হাসান (১২তম ব্যাচ), আক্তার (৮ম ব্যাচ), জামাল (৯ম ব্যাচ), মেহেদী (৭ম ব্যাচ), নাদিম (৭ম ব্যাচ), আশিক আবির (১১তম ব্যাচ), পাল কুমার হৃদয় আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, সুমনা হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করে। সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে ছুটাছুটি করে। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম জানান, তারা বাগেরহাট আওয়ামীগের একটি সম্মেলনে অংশগ্রহন করার জন্য ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। এই সুযোগে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীরা পদ-প্রত্যাশী নেতাদের ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানিয়েছে। অতিশ্রীঘ্রই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ জানান, ভুল বোঝাবুঝির কারণে ক্যাম্পাসে ছাত্রনেতাদের ঝামেলা হয়েছে। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করব। এরপরেও যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোতয়ালী থানার এডিসি শাহেন শাহ্ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখনও ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
Check Also
সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে দুবলার চরে গেলেন ৪০১জন পূণ্যার্থী
উপকূলীয় অঞ্চল (শ্যামনগর): পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে রাস মেলায় গেছেন …