ক্রাইমবার্তা রিপোট:চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ডাকা এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয়দের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত মোহাম্মদ আলী (৩৫) বাঁশখালী উপজেলার গ-ামারা ইউনিয়নের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার গ-ামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকার উন্মুক্ত স্থানে ওই সভা ডাকা হয়েছিল।
তাতে সংঘর্ষে আহত আলী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।
আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে আশংকাজনক দুইজনকে চমেকে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার গ-ামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকার উন্মুক্ত স্থানে ওই সভা ডাকা হয়েছিল। কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে নৌবাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের মত বিনিময় সভার প্রাক্কালে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গ-ামারার আলোচিত মোহাম্মদ লেয়াকত আলী গ্রুপ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ নৌবাহিনী ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উপস্থিত জনগণ আতংকিত হয়ে পড়ে।
কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্থানীয় জনগণের ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ পাওনা পাওয়ার আশ্বাস প্রদানের জন্য এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভার শেষ মুহূর্তে নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কমোডর এম. সোহাইল স্থানীয় জনগণকে তাদের ন্যায্য পাওনা যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেবেন বলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন।
সূত্রমতে, বেশ কিছুদিন যাবৎ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় স্থানীয় জনগণের পাওনা টাকা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় প্রকল্প স্থানে।
সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এবং বাঁশখালীর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ওই স্থানে জড়ো হয়। এ সময় লেয়াকত আলী বিপুল সংখ্যক লোক নিয়ে এসে মাঠের চার পাশে শোডাউন করলে নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম গ্রুপের লোকজন তা বন্ধ করার জন্য দাবি জানান। এতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহতরা হলেন, মো. আলী (৩০), মোঃ ইউনুছ (৪৫), জামাল হোসেন (৩৫), আবু সৈয়দ (২৫), মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫), কবির আহমদ (৩০)সহ আরো প্রায় ১৫-২০ জন।
(১)সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গন্ডামারার চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম, নায়ক মো. লেয়াকত আলী, নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কমডোর এম. সোহাইল, এস. আলমের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাগণ, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, সহকারী পুলিশ সুপার একেএম এমরান ভুঁইয়া, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেনসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এরআগে গত বছর ৪ এপ্রিল এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে বাঁশখালীর গ-ামারায় চারজন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হন।