ক্রাইমবার্তা রিপোট:দুই সারিতে দাাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের হাতের উপর এক শিক্ষার্থীর শরীর বিছিয়ে দেওয়া হল। এরপর তার উপর দিয়ে হেঁটে গেলেন চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী।
এরপর তিনি যে দিক দিয়ে নামবেন তার সামনেই অপর এক শিক্ষার্থী হাঁটু গেঁড়ে ঘার নিচু করে বসে রয়েছে যেন তিনি সহজে নামতে পারেন। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল উছমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হাবিবুর রহমান পাটওয়ারী ছবিটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ছবিটি ফেসবুকে আপলোড করে লিখেছেন, ইনি একজন জনপ্রতিনিধি। দেখুন তার কাণ্ড। সমাজ কি এতোটা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কি নেই এদের থেকে সমাজটাকে নিস্তার দিতে। শিশু শ্রম যেখানে নিষিদ্ধ, সেখানে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি অপ্রাপ্ত বয়সী শিশুদের পিঠে চড়িয়া হেটে চলছেন। দেখাচ্ছেন সার্কাস। কি হবে এইসব জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কি এই রকমের? একজন আওয়ামীগার হয়ে কি দেখালেন! পুনশ্চঃ আওয়ামী বিরোধীরা খুশিতে আটখান হইয়েন না।
চাঁদপুর শহরের লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সায়েম লিখেন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও ডাক্তার এঁরা সাক্ষাৎ আল্লাহর দান। তারপর যদি তাদের মধ্য থেকে ব্যতিক্রম কিছু করেন, যা সমাজের অসঙ্গত, তা কি শোভা পায়?
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে তারা আমাকে ইভেন্টের সদস্য বানায়। আমি শুধুমাত্র ইভেন্টে অংশ নিয়েছি, আর কিছু নয়।