আবু সাইদ বিশ্বাস:সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নির্দেশ উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ এবার তুললো টিনের সাইনবোর্ড। জানা যায়, ব্রহ্মরাজপুর বাজারের সাহেব বাড়ি মোড় এলাকার সন্তোষ দাসের পুত্র মোহন দাসের চল্লিশ বছরের দখলীয় জমি ও ঘর গত ২৯ জানুয়ারি দখলস্বত্ব হিসাবে হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুস সেলিম লিখিতভাবে হস্তান্তর করে নেয়। দখল বুঝে নেওয়ার আগেই জানতে পেরে ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ঐদিনই ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও কাপড়ে কার্যালয় লিখে ঘরের পেছনের অংশ ভাংচুর করে দখল করে নেয়। এই ঘটনায় সন্তোষ ও সেলিম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিলে তিনি তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে ঘটনাটি সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। এসব ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি উপস্থিত লোকজনের কাছে প্রকৃত ঘটনা অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক দলীয় সকল ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেন। এছাড়া ওই জমি ও ঘরে কেউ যাতে অবস্থান করতে না পারে ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জকেও তিনি কঠোর নির্দেশ দিয়ে আসেন। অপরদিকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাবু সানা), ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ সরদার ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুছ ছালামের উপর দায়িত্ব দেন। কিন্তু এসব নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘটনাস্থল থেকে কোনো কিছু না সরিয়ে পুনরায় সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন করে আবার ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয় লিখে বাশের মাথায় টিনের সাইনবোর্ড তোলা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও নানা ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্রহ্মরাজপুর সাহেব বাড়ি মোড় আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে যে কোন সময় সংঘর্ষ বাধার আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।