‘আবার দুজনে’ অ্যালবাম সম্পর্কে বলুন?
এই অ্যালবামে আমরা মা-মেয়ে মিলে চারটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছি। গানগুলো গেয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ১০ বছর আগে আমাদের দুজনের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পর অনেকেই চেয়েছিলেন নতুন গান করাতে। কিন্তু বাঁধনের চাকরির ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছি।
মেয়ের গান নিয়ে আপনার মূল্যায়ন?
শ্রোতা হিসেবে বলতে পারি, সে খুব ভালো গেয়েছে। শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম থাকায় তার রয়েছে বাড়তি সুবিধা। আমি নিজেও যখন পারছি, ওকে দেখিয়ে দিচ্ছি। মেয়ে বাড়িতে এলেই হারমোনিয়াম নিয়ে বসি। বাঁধন কোনো গান রেকর্ড করার আগে আমাকে শোনায়, মন্তব্য জানতে চায়। আমি ওকে নিয়ে আশাবাদী।
গানের বাইরে অবসরে কী করেন?
আমার সকাল শুরু হয় একটু দেরিতে। এরপর অনেকক্ষণ রেওয়াজ করি। দেশের ও দেশের বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করি। ঘরবাড়ি গোছাতে খুব ভালো লাগে। ইদানীং রান্না করাটা ভীষণ উপভোগ করি। মন চাইলে রান্না করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
কী রাঁধতে বেশি ভালো লাগে?
মাংস ইদানীং খুব একটা খাওয়া হয় না। তাই ওটা রান্না করা হয় না। তবে বেশির ভাগ সময় বাঁধনের পছন্দের মেন্যু রান্না করা হয়। কিছুদিন ধরে লাক্ষা মাছ পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে। এরপর কোরাল মাছও খেতে ভালো লাগে। এই দুই পদের রান্না করি বেশ আনন্দ নিয়ে। সবজি রান্না করতেও ভালো লাগে।
এখন যাঁরা গাইছেন, তাঁদের সম্পর্কে বলুন?
এখনকার শিল্পীদের গান খুব একটা শোনা হয় না। মাঝেমধ্যে যখন শুনি, তখন সব গলার আওয়াজ একই রকম মনে হয়। উচ্চারণে ত্রুটি আছে। গানের বাণীর চেয়ে মিউজিকের আধিক্য বেশি। আরেকটা বিষয় আমার মনে হয়, এখনকার ছেলেমেয়েরা ভালো সংগীত পরিচালক পাচ্ছে না।
Check Also
অন্তর্বর্তী সরকারকে ডি-স্ট্যাবিলাইজ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফারুকী
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নানান ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরে কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্র-জনতাকে …