ক্রাইমবার্তা রিপোট: এক হিসেবে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ২ লাখেরও বেশি মানুষকে ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এবং এই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অতি কঠোর আইনও। কিন্তু সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু নিজের লাইসেন্স করা শটগান দিয়ে যে গুলি ছুড়েছেন তা আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
তিনি বলেছেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় কোনো জন প্রতিনিধি তার লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে গুলি করতে পারেন না। কেবল মাত্র নিজের সম্পদ এবং নিজেকে বাঁচানোর জন্য লাইসেন্স করা বন্দুক ব্যবহার করতে পারেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা জনপ্রতিনিধি বা কোনো ব্যক্তিকে আক্রমণ করলে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পুলিশের সহায়তা নেওয়ার সুযোগ বা সময় নেই তখন সে জীবন বাঁচানোর জন্য বন্দুকটি ব্যবহার করেতে পারে। আপনি চাইলেই বা আপনার বন্দুকটি ঠিক আছে কিনা তা পরিক্ষা করার জন্যও গুলি ছোঁরতে পারেন না। এ জন্য আপনাকে থানায় জিডি কররে পরবর্তি নির্দেশনা মেনে গুলি ছুরতে হবে।
পুলিশের সামনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুর গুলিতেই সাংবাদিক শিমুলের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সাংসদ হাসিবুর রহমান স্বপনও বলেছেন, পুলিশের বাধা উপেক্ষা মেয়র নিজে এবং তার ভাইয়েরা সাংবাদিকসহ প্রতিপক্ষের ওপর গুলি ছুড়েছে। আর মেয়রের গুলিতেই সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
গত বৃহস্পতিবার মেয়রের লাইসেন্স করা শটগানের গুলিতে আহত হয়ে দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল।গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে শুক্রবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।