ক্রাইমবার্তা রিপোট:কলারোয়ায় নাসিম বিল্লাহ (৬) নামে একটি শিশু খুন হয়েছে। তার সৎ ভাই রাসেল এই ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের আটুলিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত নাসিম ওই গ্রামের হাসেম আলী গাজির ছেলে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার ঘটনাস্থলে আসেন। হত্যাকে যুক্ত অভিযোগে পুলিশ নাসিমের সৎ মা হামিদা খাতুনকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের খালা নাসরিন সুলতানা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ওই গ্রামের হাসেম আলী তার স্ত্রী হামিদা খাতুনকে তালাক দেন। রাসেল ও লামিয়া নামে দুটি সন্তান ছিল হামিদার। এরপর হামিদা খাতুন অন্য জায়গায় বিয়ে করে ঘর সংসার করে আসছেন। সম্প্রতি রাসেল প্রায়ই তার মায়ের কাছে বেড়াতে আসতো এবং দুই ২-১ দিন থাকতো। এই যাওয়া-আসার সুবাদে প্রায়ই ছোট মায়ের (সৎ মা) সঙ্গে গোলযোগ হতো তার। এমনকী ছোট মা নাসিমা ও তার ছেলে নাসিমকে মেরে ফেলার হুমকিও দিতো।
তিনি বলেন, ‘রোববার সকাল ৯টার দিকে ছোট মা নাসিমা খাতুন পটলের খেতে গেলে রাসেল তার সৎ ভাই নাসিম বিল্লাহকে ঘরে নিয়ে গলা টিপে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বেলা ১১টার দিকে ছোট মা পটলের ক্ষেত থেকে ফিরে ছেলেকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে ঘরের তালা ভেঙে দেখতে পান, তার ছেলেকে গলা টিপে হত্যা করে আলনার পেছনে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।’
নিহত শিশুটির মা নাসিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘মায়ের ষড়যন্ত্রে আমার ছেলেকে রাসেল এভাবে হত্যা করেছে।’
এ সময় রাসেল ও তার মা হামিদা খাতুরের বিচার দাবি করেন তিনি।
খোরদো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসানুজ্জামান হাসান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কলারোয়া থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) আখতারুজ্জামান জানান, তিনি খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সৎ মা হামিদা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …