ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৬৩,৪৩৫ কোটি টাকা : অর্থমন্ত্রী

ক্রাইমবার্তা রিপোট:অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।

তিনি আজ সোমবার সংসদে সরকারি দলের বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।আবুল মাল আবদুল মুহিত (ফাইল ফটো)

 

 

 আবুল মাল আবদুল মুহিত (ফাইল ফটো)
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে রক্ষিত ঋণ তথ্যের ভিত্তিতে (নভেম্বর-২০১৬) সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা কোম্পানির সংখ্যা দুই লাখ ১৩ হাজার ৫৩২ জন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণ বিবরণী মোতাবেক বর্তমানে (সেপ্টেম্বর-২০১৭) ব্যাংকসমূহের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ২৬ ভাগ। অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৯৪ ভাগ। একই সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩৪ হাজার ৪৩৮ ও ৩২ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩, দেউলিয়া আদালত আইন ১৯৯৭ ও পাবলিক ডিমান্ড রিকোভারি এ্যাক্ট, ১৯১৩ রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, খেলাপি বা শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক টাস্কফোর্স সেল রয়েছে। ওই সেলের মাধ্যমে অর্থ ঋণ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে দায়েরকৃত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও তার বিভিন্ন শাখা অফিসসমূহ ব্যাংকার‡দর সাথে বিভিন্ন সমন্বয়ে সভায় ব্যাংকিং খাতের শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ের কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বনের বিষয়ে ব্যাংকসমূহকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা নির্দেশনা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর অধীনে আদালতের বাইরে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমেও শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সম্পাদনের মাধ্যমে শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ে কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় ও বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সময়ে সময়ে পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন নীতিমালার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।