ক্রাইমবার্তা রিপোট:মীর খায়রুল আলম: সাতক্ষীরার ইছামতি নদীর তীরে ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দর বনকে পরিপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র তৈরীর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ২০০৯ সালে দেবহাটার সশিলগাতী এলাকার নদীর বেড়ি বাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হলে বাধ রক্ষায় ২০১০ উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে বাধ রক্ষায় ও প্রাকৃতিক ভারশম্য রক্ষার জন্য ১০একরের মত জায়গা জুড়ে তৈরী এই ম্যানগ্রোভ বন। বেশ কয়েক বছর যেতে যেতে বনের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর রক্ষা পায় আশে পাশের এলাকাবাসীরা। প্রতিবছরে উপজেলার ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ উপভোগ করতে আসে প্রকৃতির এই দৃর্শ। সেই সাথে রান্নাবান্না করে ধুমধাম চড়–ই ভাতিও করে। তাছাড়া শীতের প্রথম থেকে শুরু হয় পিকনিক উৎসব। কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে উৎসবের আমেজ। সেই আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সকলের মাঝে। ঠিক তেমনি এবছরে শুরু হয়েছে পিকনিক উৎসব। এবছরের শীতের শুরু থেকে প্রতিদিন ৩-৪টি করে পিকনিক হচ্ছে স্থানটিতে। বর্তমান স্থানটিতে কোন প্রকার ফি দিতে না হওয়ায় স্্েরাতহীন ইছামতির তীরে নিরিবিলি সময় কাটাতে আসেন বিনোদন প্রেমীরা। সোমবার উপজেলার আইডিয়াল ইংলিশ হোমের পক্ষ থেকে ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবনে ধুমধাম চড়–ইভাতি ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইবাদুল ইসলাম জানান, আমার প্রতিবছর এই স্থানটিতে কোচিং সেন্টারের বার্ষিক বনভোজন চড়–ইভাতি। স্থানটি অনেক নিরিবিলি, মনোমুগ্ধকর হওয়ায় বারবারই এখানে এই আয়োজন করি। সরকারি ভাবে যদি উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে ম্যানগ্রোভ বনের মর্যদা আরো বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সরকার রাজস্ব পাবে। তাছাড়া দেবহাটার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। স্থানীয় গোপাল কুমার বলেন, আমরা প্রতিদিন সকালে হাটতে আসি ম্যানগ্রোভ বনে। আমাদের এলাকার একটি ঐতিহ্য এই বন। সরকারি ভাবে বিভিন্ন সময়ে উদ্যেগ গ্রহন করেও সেটি বস্তবায়ন হয়নি। যদি সরকার একটি উদ্যোগ নেন তাহলে আমাদের দেবহাটার নাম সবার মুখে মুখে থাকবে। দেশের বাইরের লোকেরাও হয়ত এখানে ঘুরতে আসবে। তাই যতদ্রুত সম্ভব পরিপূর্ণ বনে রূপদিতে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেন।
এদিকে, বর্তমান সময়ে বনের চারপাশ দিয়ে ভেড়ি দিয়ে জোয়ারের পানি আটকিয়ে রেখে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে একদিকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে দীর্ঘসময় ধরে পানি আটকে রাখায় জলাবদ্ধতায় ম্যানগ্রোভ বনের গাছের শিকড় পঁচতে শুরু করেছে। এমনকি বনের সীমানার ভিতরে মাটি তুলে বড় দুইটি ২ বিঘার মত ঘের তৈরী করা হয়েছে। যা অত্যান্ত হুমতি ফেলছে ইছামতির সীমানা রক্ষায় নিমৃত ম্যানগ্রোভ বনের। তবে সাম্প্রতিক এই বনটি ব্যক্তি মালিকানায় হস্তন্তের চক্রান্ত চলছে।
গত জানুয়ারীতে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিস আল-আসাদ জানান, দেবহাটার ম্যানগ্রোভ বনটিকে পরিপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তিনি আরো বলেন, কেউ ইচ্ছা করলেও এই বনটিকে নিজের আওতায় রাখতে পারবেন না কারণ এই স্থানটি সরকারের। যদি কোন ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে সরকারের সাথে সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন তাহলে সুযোগ দেওয়া হবে। তাই স্থানীয়দের দাবি সকল প্রকার চক্রান্ত বন্ধ করে একটি বিনোদন স্পট নির্মান করা হোক।
Check Also
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …