ক্রাইমবার্তা রিপোট:বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জীবদ্দশায় দিরাইয়ে নিজ বাসভবনের সামনে লাগিয়েছিলেন চন্দন গাছ। নিজ হাতে রোপণ করা সেই চন্দন গাছের কাঠ দিয়ে সৎকার করা হয়েছে তাকে।
চন্দন গাছটি আজ সোমবার সকালে কাটা হয় এবং কাঠ আকারে বানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদার। সোমবার সন্ধ্যার পর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা শহরের নিজ বাড়ির পাশে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড়যুগ আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজের হাতে দিরাই শহরের বাসার আঙিনায় একটি চন্দন গাছ রোপণ করেছিলেন। যখনই তিনি দিরাইয়ের বাড়িতে যেতেন, নিজের হাতেই চন্দন গাছটির পরিচর্যা করতেন। বাড়িতে তার নিজের হাতে গড়া বাগানে প্রচুর পরিমাণ মেহগনি, সুন্দরী ও সেগুন গাছসহ ফলের গাছ রয়েছে। যখনই সময় পেতেন, সুরঞ্জিত নিজ হাতেই এসব গাছের যত্ন নিতেন। কে জানত সেই চন্দন গাছের কাঠ দিয়েই তাকে সৎকার করা হবে। অবশেষে তার ইচ্ছা অনুযায়ী চন্দন কাঠ দিয়েই সৎকার করা হয়েছে। সুরঞ্জিত
দিরাইয়ে বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক কবি নীরেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন একজন মহান রাজনৈতিক কবি ও বৃক্ষপ্রেমিক। তিনি প্রকৃতিকে খুব ভালবাসতেন। রাজনীতির পাশাপাশি নিজের হাতে লাগানো গাছ গাছালির যত্ন করতেন।’
এদিকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দিরাই-শাল্লার সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে দিরাই সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ রোববার থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। এর আগে রোববার সকালে দিরাই জগন্নাথ মন্দিরে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় পবিত্র গীতা পাঠ ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।