ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরাা জেলা জঙ্গিবাদের জেলা নয়, সাতক্ষীরা মাদকের জেলা নয় এটা প্রমান করে সাতক্ষীরার উদীয়মান কৃর্তি খেলোয়ারদের দেখে। সাতক্ষীরায় সারাবছর খেলাধুলার ব্যবস্থা চলমান থাকবে। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলাকেও এগিয়ে নিতে হবে। ক্রিকেটে যেমন সাতক্ষীরা সারা বাংলাদেশের মধ্যে এগিয়ে আছে। সাতক্ষীরা ক্রিকেটের জেলা। ৩য়তম আসর চায়না-বাংলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের এই আয়োজন ক্রিকেট প্রেমিদের ব্যাপক উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে যুবকদের মাদক এবং জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। খেলাধুলা মানুষের মনকে প্রফুল্ল ও সতেজ রাখে এবং সুস্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করা ছাড়াও যুবকদের সকল অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে চায়না বাংলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ৮ দলীয় চায়না বাংলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার ৩য় আসর। সোমবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে চায়না বাংলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে লড়াই করেন শক্তিশালী গণমূখী সংঘ সাতক্ষীরা এবং ঐতিহ্যবাহী টাউন স্পোটিং ক্লাব সাতক্ষীরা। প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গণমূখী সংঘ। মাঠে নেমে তারা ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মোট সংগ্রহ করেন ২৪৪ রান। এদর মধ্যে সর্ব্বোচ্য রান করেন রবিউল তিনি ৮৭ বলে ১১১ এবং সৌরভ ৬৯ বলে ৬৮ রান করে। পক্ষান্তরে ২৪৫ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে ঐতিহ্যবাহী টাউন স্পোটিং ক্লাব। তারা মাত্র ৩৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান তুলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এদের মধ্যে ম্যান অব দ্যা ম্যানের খেতাব অর্জন করেন টাউন স্পোটিং ক্লাবের নাহিদ তিনি পরপর ৬ বলে ৬টি ছক্কা মেরে টিমকে চ্যাম্পিয়নের ১লক্ষ টাকার চেক অর্জন করার দিকে অগ্রসর করে নিয়ে যান। তিনি কিভাবে ছক্কা মারতে হয় সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন গণমূখী সংঘকে তিনি সংগ্রহ করেন ৮১ রান এবং ১টি উইকেট হাতিয়ে নেন। এদিকে ১৫৩ রান করে সেরা ব্যাটস্ ম্যানের খেতাব অর্জন করেন টাউন স্পোটিং ক্লাবের রিপন, ৬ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার হয়েছেন নির্জন ভদ্র এবং ৪ উইকেট ও ১০৩ রান করে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয়েছেন টাউন স্পোটিং ক্লাবের সোহেল।