ক্রাইমবার্তা রিপোট:তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, নীলফামারী ঃ চায়ের কাপে ময়লা দেখে দোকানের মালিককে জানানো এজাজ (২৭) নামে এক যুবকের গায়ে গরম চা ঢেলে দিয়েছেন দোকানিসহ তার চার ছেলে। এতে শরীরের অনেকটা পুরে গেলে গুরুতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে ( ৬ ফেব্রুয়ারি) শহরের স্বর্ণকার পট্টি রেললাইনের ধারে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে জুয়েলারি শ্রমিক এজাজ চা পান করতে সাইনুলের চায়ের দোকানে আসেন। সেখানে চা পানের সময় কাপে ময়লা দেখতে পেয়ে দোকানিকে বিষয় টি জানান। দোকানের বদনাম করায় ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানিসহ তার কর্মচারী চার ছেলে নওশাদ, এরশাদ, শমশের ও শামসু এজাজকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তারা এজাজের গায়ে কেটলি ভর্তি গরম চা ঢেলে দেন।এতে এজাজের শরীর পুড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওযায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে আহত এজাজের ভাই মেরাজ বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডোমারে দুই খাবার হোটেলকে জরিমানা
তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু,ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতা ঃ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ খাবার তৈরি ও পরিবেশনের দায়ে নীলফামারীর ডোমারে দুই খাবার হোটেলকে এক হাজার করে মোট দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।রবিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোছাঃ ফুয়ারা খাতুন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে সহযোগিতা করেন ডোমার থানা পুলিশের একটি দল।দন্ডিত দুই হোটেল হলো- ডোমার উপজেলা মোড়ের রুবেল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও বাবুলের হোটেল।ডোমার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই হোটেলগুলোয় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং পরিবেশনের অভিযোগ ছিল। এরই প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা জুড়ে এ অভিযান চলবে।
১৬ বছর পর ফিরে পেলেন বাবা মা তার একমাত্র সন্তানকে।
তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু,ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতা ঃ দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাড়ি ফিরল আবুল হাচান(৩০) নামে যুবক। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে জোড়াবাড়ী জয়নাল পাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও মহচেনা বেগমের একমাত্র ছেলে আবুল হাচান। তারা জানান, ২০০১ সালে হাসানের বয়স তখন ১৪ বছর। এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে এমদাদুল সহ ৬/৭জন শ্রমিক লোহার রডের ফ্যাক্টরীতে কাজ করার জন্য চট্রগ্রামে পাড়ি দেয়। সাথে ছিল একমাত্র ছেলে হাসান। সেখানে ২মাস কাজ করার পরে হঠাৎ একদিন সে হারিয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজন ও সকলেই সেই সময় অনেক খোজার পরে তার আশা ছেড়ে দেন ।শুধু আশায় বুক বেঁধে ছিলেন মা বাবা। এক সময় তারাও আশা ছেড়ে দেন। গত মঙ্গলবার(৩১ জানুয়ারী) রাতে ছেলেটির মামী মিনারা বেগম গোমনাতী এলাকায় একটি মানষিক রোগী ছেলেকে দেখে । এলাকাবাসী জানান, ছেলেটি ৭দিন ধরে লোকমানের ধানের চাতালে অবস্থান করছে। মিনারা বেগম কিছুটা চিনতে পেরে বাড়ীতে সংবাদ দেয়। ছেলেটির বাবা মা শৈশবের কিছু চিহ্ন যেমন, ডান পায়ে কোদালের কাটা দাগ, ঘাড়ের নিচে বড় তিল, বাম কান ফুটো করা সহ শারীরিক গঠন দেখে হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে সনাক্ত করে বাড়িতে নিয়ে আসে। তবে সে সবভুলে গেছে বর্তমানে ভারসাম্যহীন, মানসিক রোগী। জানতে চাইলে শিলিগুড়ি, জলপাই গুড়ি হাওড়ার গল্প শোনা যায় তার মুখে। মানষিক ডাক্তারের চিকিৎসা করালে সুস্থ হতে পারে বলে তারা জানান।তাকে এক নজর দেখতে বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ ভীড় জমায় লুৎফরের বাড়ীতে।