ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এবারের নির্বাচন কমিশন আধ্যাত্মিকতার ফসল হতে পারে, কিন্তু জনমতের প্রতিফলন হয়েছে এ কথা বলা যায় না। সেইসাথে কে এম নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে নিয়োগ করে সরকার দেশকে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে শুধু গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা না, প্রধান ভুমিকা। এই প্রধান ভুমিকা পালনের জন্য যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন, তাদের জন্য বিতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকা অপ্রয়োজনীয় এবং অনাকাঙ্খিত। সরকার দেশকে সেই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান (ফাইল ফটো)
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশননের ভুমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় সাবেক ছাত্রদল নেতা সর্দার মো: নূরুজ্জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন আধ্যাত্মিকতার ফসল হতে পারে, কিন্তু জনমতের প্রতিফলন হয়েছে এ কথা বলা যায় না। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি ও তরিকত ফেডারেশন- তিনজন কমিশনার হয়েছেন ইনাদের নামের তালিকা থেকে। এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোনো আধ্যাত্মিক কারণই আছে। সেই কারণ অনুসন্ধান করলে কোনো আধ্যাত্মিক মানুষ পাওয়া যাবে না, ক্ষমতাশালী কোনো মহল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে খেলাধুলা করা ঠিক হয়নি। কারণ ইসি নির্বাচন পরিচালনার মূল প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করার মূল প্রতিষ্ঠান হলো সেসময়ের সরকার। এই দুটি যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে, সাহসিকতার সাথে আইন অনুযায়ী কাজ না করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জনমতের প্রতিফলন হয় না, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হতে পারেন না, তখন সে সরকার গঠিত হয়, সেই সরকার জনগণের সরকার হয় না। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, আমরা জনমতের প্রতিফলন দেখতে চাই, আমরা জনমতের স্বীকৃতি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনে যারাই বিজয়ী হবেন, তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন নির্বিঘ্নে মর্যাদার সাথে।